সামাজিক সংগঠন “সানাপাড় বর্ণালী সংসদ”
হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

- ০৯:৫৫:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
- / ৫৩১
সামাজিক সংগঠন সিদ্ধিরগঞ্জের “সানাপাড় বর্ণালী সংসদে”র সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা কাজী মো: ইসলাম ও তার ভাই নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মারুফসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা না দেওয়ায় সিলিণ্ডার দোকানে হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার(৪ মার্চ) মাদ মাগরিব বর্ণালী সংসদ কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সমম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণালী সংসদের যুগ্ন সম্পাদক সুমন মুন্না লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সানারপাড় এলাকার বাসিন্দা সুপ্রীম কোর্ডের আইনজীবী আলিফ লায়লা বাদী হয়ে গত রোববার রাতে কাজী মো. ইসলাম তার ভাই সানারপাড় কেন্দ্রীয় বায়তুন নুর জামে মসজিদের ইমাম কাজী মারুফসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজি ও কাউসারের সিলিণ্ডার দোকানে হামলা মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখিত ঘটনার সাথে বাস্তবাতার কোন মিল নেই।
প্রকৃত ঘটনা হলো- সানারপাড় এলাকায় ছুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর অনুরোধে বর্ণালী সংসদের উদ্যোগে রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত শনিবার রাত ২ টার দিকে বাঘমারা এলাকায় ৬-৭ জনের একটি ছিনতাইকারী দল পহারারত দলের সামনে পড়ে। তখন ছিনতাইকারীরা যে যারমত পালিয়ে যায়। এসময় একই এলাকায় কাজী ইসলামের নেতৃত্বে পাহারারত দলের সামনে পড়ে অভিযোগকারী আইনজীবী আলিফ লায়লার ভাই আনিসুর রহমানের ছেলে আশিক। নিজ বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে এত রাতে সে ওইখানে কি করে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেনি। তখন তার দেহ তল্লাশী করে ২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজার পুটলি পাওয়া যায়।
এলাকার পরিচিত ছেলে হিসেবে কাজী ইসলাম তাকে চড়থাপ্পড় দিয়ে সঙ্গে থাকা মাদকদ্রব্য নষ্ট করে ছেড়ে দেয়। পর দিন রোববার কাজী ইসলাম সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড মসজিত থেকে আসরের নামাজ আদায় করে বের হওয়ার পর আনিসুর রহমান তার ছেলেকে চড়থাপ্পড় মারার কারণ জানতে চায়। কাজী ইসলাম বিষয়টি বলার পর সে আনিসুর রহমান বলে আমার ছেলে মাদক সেবন করুক বা যা ইচ্ছা তা করুক তুই মারার কে। এই বলে উত্তেজিত আনিসুর রহমান ও তার ভাই ভাতিজারা মিলে কাজী ইসলামকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।
এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে চাঁদার দাবিতে দোকানে হামলা লুটপাটের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করা হয়। এমন মিথ্যা অভিযোগ করার বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করানোর জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপি নেত্রী লুৎফুরন্নাহার বলেন, অভিযোগকারী আইনজীবী আলিফ লায়লা ও তার ভাই ভাতিজারা আওয়ামী লীগের দোসর। তার ভাই ফেরদৌস জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় সকল ফুটপাত দোকান থেকে ফেরদৌছ চাঁদাবাজি করছে। একাধিক হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক স্বেচ্ছ সেবকলীগ নেতা সানারপাড় মোল্লা বাড়ির মহিউদ্দিন মোল্লার শেল্টারে ফেরদৌস, কাউসার ও তার ভাই ভাতিজা আবির ও নিবির এলাকায় চাঁদাবাজি,চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ৫ আগস্টের পর মহিউদ্দিন মোল্লা আত্মগোপন করলেই তার বাহিনী এলাকায় বীর দর্পে তাদের এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় ফেরদৌসের চাঁদাবাজির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত আসলাম, মিজানুর রহমান ও সওকতসহ ৭-৮ জন ফুটপাতের ব্যবসায়ী।