০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

অনলাইন-সংস্করণ
  • ১০:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৫১০
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মাববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিল নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে এসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

এসময় নিহতের মেয়ে বলেন, আমার ভাই, আমার মা ও বাবা সকলকে আহত করা হয়েছে। এই শোকে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আমার মা স্টক করে মারা যান। ওরা কীভাবে পুলিশের সামনে এতগুলো মানুষকে মারল। পুলিশ ওদের তুলে এনে ছেড়ে দিয়েছে। তারা মামলা নেয়নি। তিনি বলে উনি বিএনপির নেতা, মামলা দেয়া যাবে না। তারা এখনও হুমকি দিচ্ছে আমার বাবাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে। আমার বাবা, আমার ভাইয়েরা মায়ের জানাজায় যেতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, এসআই মাহাবুব ঘটনার দিন কয়েকজনকে সেখান থেকে এনে পুলের সামনে ছাড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের সামনে কীভাবে আমার বাবা, মা. ভাইদের মারল আমি এর বিচার চাই।

নিহতের ছেলে আহত ছাত্র রোমান বলেন, আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাইকে মারছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গেলে আমাকে মারধর করে কুপিয়ে আহত করেছে। প্রশাসন সামনে ছিল। এসআই মাহাবুবের সামনে আমাদের মেরেছে। আমাদের পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময়ও আমার বাবাকে কোপ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাতে আমার বাবা মামলা করতে আসলে তারা মামলা নেয়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মামুন বলেছে, তারা বিএনপি করে। ওরা মুন্সীর লোক। তারা বললে মামলা হবে, নয়ত হবে না। এর পরের দিন সকালে আমার মা মারা যায়।

এদিকে থানা ঘেরাও করে আন্দোলন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন আলম।

আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমাদের অফিসারের অনেক স্বল্পতা রয়েছে। এ নিয়েই আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে অবশ্যই আমরা ব্যাবস্থা নেব। এখানে সঠিক বিচার হবে, এর কোন ব্যাত্যয় হবে না।

জানাগেছে, গত ১ ডিসেম্বর বাসা ভাড়া চাইতে গেলে আশরাফ মিয়া ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে সোমবার ২ ডিসেম্বর দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত লিলি বেগম (৫০) মারা যান। এই হামলায় আহত হয়েছে নিহতের স্বামী আশরাফ মিয়া (৫২) রোমান হাসান(২২), ইমামুল ইসলাম ইমু(২৫), মো: নাজেমুল ইসলাম(২৮) ও নাঈম হাসান(৩০)।

এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মো: আশরাফ মিয়া (৫২) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো মো: মনির হোসেন(৩৫), চাঁন মিয়া(৬৫), জাহান(১৯), ওয়াদুদ(২৮), গনি মিয়া(৫০) ও নাজমুল(৩০)।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

সিদ্ধিরগঞ্জে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

১০:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও মাববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিল নিয়ে মহাসড়কে বিক্ষোভ শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সামনে এসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, পুলিশ কর্মকর্তা বিচারের দাবীতে মানববন্ধন করেন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

এসময় নিহতের মেয়ে বলেন, আমার ভাই, আমার মা ও বাবা সকলকে আহত করা হয়েছে। এই শোকে চিকিৎসাদিন অবস্থায় আমার মা স্টক করে মারা যান। ওরা কীভাবে পুলিশের সামনে এতগুলো মানুষকে মারল। পুলিশ ওদের তুলে এনে ছেড়ে দিয়েছে। তারা মামলা নেয়নি। তিনি বলে উনি বিএনপির নেতা, মামলা দেয়া যাবে না। তারা এখনও হুমকি দিচ্ছে আমার বাবাকে যেখানে পাবে মেরে ফেলবে। আমার বাবা, আমার ভাইয়েরা মায়ের জানাজায় যেতে পারেনি। আমি এর বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, এসআই মাহাবুব ঘটনার দিন কয়েকজনকে সেখান থেকে এনে পুলের সামনে ছাড়িয়ে দেয়। প্রশাসনের সামনে কীভাবে আমার বাবা, মা. ভাইদের মারল আমি এর বিচার চাই।

নিহতের ছেলে আহত ছাত্র রোমান বলেন, আমি বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার ভাইকে মারছে। আমি সেখানে ঠেকাতে গেলে আমাকে মারধর করে কুপিয়ে আহত করেছে। প্রশাসন সামনে ছিল। এসআই মাহাবুবের সামনে আমাদের মেরেছে। আমাদের পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর সময়ও আমার বাবাকে কোপ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রাতে আমার বাবা মামলা করতে আসলে তারা মামলা নেয়নি। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মামুন বলেছে, তারা বিএনপি করে। ওরা মুন্সীর লোক। তারা বললে মামলা হবে, নয়ত হবে না। এর পরের দিন সকালে আমার মা মারা যায়।

এদিকে থানা ঘেরাও করে আন্দোলন চলতে থাকলে এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিন আলম।

আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আমাদের অফিসারের অনেক স্বল্পতা রয়েছে। এ নিয়েই আমরা কাজ করার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে অবশ্যই আমরা ব্যাবস্থা নেব। এখানে সঠিক বিচার হবে, এর কোন ব্যাত্যয় হবে না।

জানাগেছে, গত ১ ডিসেম্বর বাসা ভাড়া চাইতে গেলে আশরাফ মিয়া ও তার ছেলেদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে সোমবার ২ ডিসেম্বর দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত লিলি বেগম (৫০) মারা যান। এই হামলায় আহত হয়েছে নিহতের স্বামী আশরাফ মিয়া (৫২) রোমান হাসান(২২), ইমামুল ইসলাম ইমু(২৫), মো: নাজেমুল ইসলাম(২৮) ও নাঈম হাসান(৩০)।

এ ঘটনায় ২ ডিসেম্বর মো: আশরাফ মিয়া (৫২) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলো মো: মনির হোসেন(৩৫), চাঁন মিয়া(৬৫), জাহান(১৯), ওয়াদুদ(২৮), গনি মিয়া(৫০) ও নাজমুল(৩০)।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন