সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (ইডি) মাহবুব আহম্মেদ সিদ্দিকি ও কাষ্টমস্ এর রাজস্ব কর্মকর্তা একেএম এনামুল হকসহ দুই দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তার অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ ঠিকাদাররা।

রবিবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় আদমজী ইপিজেডের মূল ফটকের সামনে চাষাঢ়া-আদমজী-শিমরাইল সড়কে এ মানববন্ধন করেছে ঠিকাদাররা।

এসময় ঠিকাদাররা বক্তব্যে বলেন, মেসার্স ডিনকুম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক সাজেদা চৌধুরীর মনোনীত ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা আবু হানিফ হৃদয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসীন মিয়ার সমন্বয়ে ইউনেস্কো বিডি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের জুট ও অন্যান্য মালামাল বের করেন।

জুটের সাথে তারা অ-অনুমোদিত অতিরিক্ত অবৈধ মালামাল আদমজী ইপিজেডের কাষ্টমস কর্মকর্তা একেএম এনামুল হক ও বেপজার ইডি মাহাবুব আহম্মেদ সিদ্দিকির সহযোগীতায় বের করেন।

গত ১৩ আগস্ট ১৫টি ট্রাকে করে মালামাল বের করার সময় ট্রাক নাম্বার (ঢাকা-মেট্রো ট ১৫-৬১০৯), (ঢাকা-মেট্রো ট ১৬-৫৬৯৫), (ঢাকা-মেট্রো ট ১৬-২৪৩৫) এ মোট ৪৫০০ কেজী মালামাল থাকার কথা থাকলেও ৩টি ট্রাকে প্রায় ৩০ টন মালামাল বের করার চেষ্টা করিলে জনতা তা আটক করে কাষ্টমস এবং ইপিজেডের কর্মকর্তাদের জানায়। কাষ্টম এবং ইপিজেডের কর্মকর্তাগণ অতিরিক্ত মালামাল এর কিছু অংশ নামিয়ে গত ১৫ আগস্ট মালামাল ভর্তি ট্রাকগুলি ছেরে দেন।

কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগের মেসার্স ডিনকুম ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কোম্পনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করেন। তাই আমরা মনে করি তাহারা আওয়ামী লীগের দোসর এবং আমরা তাদের পদত্যাগ দাবি করিতেছি। তাছাড়া একটি সূত্রে জানতে পারলাম ইপিজেড এর ইডি মাহবুব আহমেদ সিদ্দিকীর মেয়েকে বিয়ে দেন ইউনেস্কো বিডির মালিক এর ছেলে ইরফান এর সাথে।

ঠিকাদাররা আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীরা এ ভাবে ইপিজেড থেকে কোটি কোটি টাকার মালামাল রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বের করে নিয়ে যেত। অভিলম্বে এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অপসারণ দাবি করেন তারা।

এসময় হুশিয়ারী দিয়ে ঠিকাদাররা বলেন, যদি দ্রুত এই দুর্নীতিবাজদের অপসারণ না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাস্টমস কর্মকর্তা একেএম এনামুল হকের অফিসে গেলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বেপজার ইডি মাহবুব আহমেদ সিদ্দিকের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।