০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

না’গঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  • ১১:৪২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬৪৭

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান স্বজন (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।

নিহত আবুল হাসান স্বজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সাত্তার রাত সোয়া ১২ টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আবুল হাসান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানে শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাসেল, নাসিকের প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল, এডভোকেট মহসিন, সুজিত সাহা, শামীম ওসমানের পুতরা মিনহাজুল বিকি, ফয়সাল, নির্জন দাস, লিটন সাহা, কোরবান, টিপু সুলতান, রামু সাহা, খান মাসুদ, বান্টি, বাপ্পি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রিফাত, নাছির, শ্যামল, অহিদুজ্জামান অহিদ, ফয়সাল শুভ। এছাড়া মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অনিক উল্লেখ করেন. ৫ আগস্ট বেলা দেড়টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ মন্ত্রীর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকেন ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন।

এসময় মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান স্বজনসহ অনেকে। আহত অবস্থায় স্বজনকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৬ আগষ্ট ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছাড়েন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

না’গঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

১১:৪২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জে আবুল হাসান স্বজন (২০) নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।

নিহত আবুল হাসান স্বজনের ভাই আবুল বাশার অনিক বাদী হয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সাত্তার রাত সোয়া ১২ টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত আবুল হাসান নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কুশিয়ারা এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করতেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান, শামীম ওসমানে শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, নারায়ণগঞ্জ শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাসেল, নাসিকের প্যানেল মেয়র আব্দুল করিম বাবু, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্না, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ৮নং ওয়ার্ডকাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল, এডভোকেট মহসিন, সুজিত সাহা, শামীম ওসমানের পুতরা মিনহাজুল বিকি, ফয়সাল, নির্জন দাস, লিটন সাহা, কোরবান, টিপু সুলতান, রামু সাহা, খান মাসুদ, বান্টি, বাপ্পি, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ রিফাত, নাছির, শ্যামল, অহিদুজ্জামান অহিদ, ফয়সাল শুভ। এছাড়া মামলায় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অনিক উল্লেখ করেন. ৫ আগস্ট বেলা দেড়টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫ মন্ত্রীর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র ও আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরে মহড়া দিতে থাকেন ও ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন।

এসময় মিশনপাড়া এলাকায় ছাত্র জনতার অবস্থানকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। একপর্যায়ে অয়ন ওসমানের গুলিতে আহত হন আবুল হাসান স্বজনসহ অনেকে। আহত অবস্থায় স্বজনকে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ৬ আগষ্ট ভোরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে তিনি দেশ ছাড়েন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন