০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রূপগঞ্জে ক্লিনিকের ওটিতে প্রসূতির মৃত্যু; হাসপাতাল ভাঙচুর

  • ১১:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪
  • / ৩৭৪

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) তে লুবনা আক্তার (২৭) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সুস্থ রয়েছে নবজাতক। এ ঘটনার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে চিকিৎসকসহ সব কর্মকর্তা কর্মচারী।

পরে নিহতের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। নিহত প্রসূতি লুবনা আক্তার আড়াইহাজার থানার গিরদা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী তপন মিয়া স্ত্রী।

এদিকে নিহতের স্বজনরা বলছেন, ওটিতে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর পরিবারের কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লুবনাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন সেই হাসপাতালে মরদেহ রেখেই তারা পালিয়ে যান।

পরে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে এলে কাউকে পাওয়া যায়নি, ততক্ষণে সবাই পালিয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এলাকার ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী তপন মিয়ার দাবি, ওটিতে নিয়ে চিকিৎসক ছাড়াই প্রসূতির শরীরে অ্যানেসথেশিয়া (চেতনানাশক) প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর তার আর জ্ঞান ফিরেনি।

জানাগেছে, সোমবার বিকেলে ডা. সোনিয়া রহমানের পরামর্শে লুবনাকে সন্তান প্রসবের জন্য ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত আটটার অপারেশনের সময় দিলেও ডা. সোনিয়া লুবনাকে ওটিতে নেন ১১টায়।

এদিকে বিষয়ে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

রূপগঞ্জে ক্লিনিকের ওটিতে প্রসূতির মৃত্যু; হাসপাতাল ভাঙচুর

১১:২৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) তে লুবনা আক্তার (২৭) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সুস্থ রয়েছে নবজাতক। এ ঘটনার পর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছে চিকিৎসকসহ সব কর্মকর্তা কর্মচারী।

পরে নিহতের বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। নিহত প্রসূতি লুবনা আক্তার আড়াইহাজার থানার গিরদা এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী তপন মিয়া স্ত্রী।

এদিকে নিহতের স্বজনরা বলছেন, ওটিতে নেওয়ার দুই ঘণ্টা পর পরিবারের কাউকে কিছু না বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লুবনাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন সেই হাসপাতালে মরদেহ রেখেই তারা পালিয়ে যান।

পরে ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে এলে কাউকে পাওয়া যায়নি, ততক্ষণে সবাই পালিয়েছে। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এলাকার ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বামী তপন মিয়ার দাবি, ওটিতে নিয়ে চিকিৎসক ছাড়াই প্রসূতির শরীরে অ্যানেসথেশিয়া (চেতনানাশক) প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর তার আর জ্ঞান ফিরেনি।

জানাগেছে, সোমবার বিকেলে ডা. সোনিয়া রহমানের পরামর্শে লুবনাকে সন্তান প্রসবের জন্য ভুলতা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত আটটার অপারেশনের সময় দিলেও ডা. সোনিয়া লুবনাকে ওটিতে নেন ১১টায়।

এদিকে বিষয়ে কথা বলার জন্য হাসপাতালে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। ভুলতা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ জিল্লুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন