০৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমি ফলে ভরপুর; ছেয়ে গেছে বিভিন্ন ফলের দোকান

  • ১১:১৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪
  • / ৪১৬

স্টাফ রিপোর্টার : পালাবদল এসেছে প্রকৃতিতে। বছর ঘুরে আবারও এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাসও বলা হয়ে থাকে। মধুমাসের এ সময়ে সারাদেশেই চোখে পড়ে গ্রীষ্মকালীন নানান ধরনের ফলের। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ফলবাজারসহ ফলের দোকান গুলোতে।

সরেজমিনে শহরের প্রধান পাইকারি ফলের আড়ৎ চারারগোপ ঘুরে দেখা গেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে আম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শ্বাস, আনারস ইত্যাদি।

এছাড়া মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদায়ের পথে থাকা বেল, বাঙ্গি ও তরমুজের মতো ফলও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এসব ফলের গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে প্রতিটি বাজারে।

গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু। এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়ও ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন অনেকে। বাজারগুলো থেকে কিছুটা কম দামেই ফল বিক্রি হচ্ছে ভ্যানের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে।

শহরের দুই নম্বর রেল গেট, কালীরবাজার, চাষাড়াসহ ফলের ফলের দোকান গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি ফল বিক্রিতে। তারা মূলদোকানের সামনের অংশে মৌসুমি ফল রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

এবাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। এছাড়া হিমসাগর, লেংড়াসহ বিভিন্ন জাতের আমও শোভা পাচ্ছে ফল দোকান গুলোতে। তবে লিচু পুরোদমে পরিপক্ব হলেও আম মাত্র আসতে শুরু করেছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফল বাজারের বেশির ভাগ অংশ থাকবে মিষ্টি ও রসালো আমের দখলে।

চারারগোপের মায়ের দোয়া ফল ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুম মৃধা বলেন, এ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রকার ভেদে প্রতি একশ লিচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ থেকে সাড়ে চারশ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, আমের বেচাকেনা এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরপুর মৌসুম। তাই লিচুর ব্যবসা জমজমাট।

এছাড়া মৌসুমের শেষ দিকে হলেও এখনও বাজারে তরমুজ আছে। দুইশ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমের বেচাকেনা জমে উঠবে। এখন বাজারে এসেছে হিমসাগর প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারে ফল কিনতে আসা রাজু আহমেদ বলেন, চারশ টাকা দিয়ে একশ লিচু কিনেছি। রসালো ফল লিচু ভাল মিষ্টি।

শহর জুড়েই মৌসুমী ফল ব্যবসাসীরা ফলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। মাঝারী আকারের একটি কাঁঠাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ হচ্ছে দুইশ থেকে তিনশ টাকা। তবে এখন পুরোপুরি বাজারে আসেনি কাঁঠাল। আর আনারসের হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় তালের শ্বাস বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। শহরের চাষাড়ায় ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করেন সোহেল নামের এক যুবক। সোহেল বলেন, আগে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতাম। এখন মৌসুমি ফলের চাহিদা বেশি। তাই ফল বিক্রি করছি। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ ফল কিনছেন। এতে আমাদের লাভও ভালো হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মৌসুমি ফলে ভরপুর; ছেয়ে গেছে বিভিন্ন ফলের দোকান

১১:১৭:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : পালাবদল এসেছে প্রকৃতিতে। বছর ঘুরে আবারও এসেছে জ্যৈষ্ঠ মাস। জ্যৈষ্ঠ মাসকে মধুমাসও বলা হয়ে থাকে। মধুমাসের এ সময়ে সারাদেশেই চোখে পড়ে গ্রীষ্মকালীন নানান ধরনের ফলের। প্রতি বছরের মতো এবারও গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ফলবাজারসহ ফলের দোকান গুলোতে।

সরেজমিনে শহরের প্রধান পাইকারি ফলের আড়ৎ চারারগোপ ঘুরে দেখা গেছে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে আম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শ্বাস, আনারস ইত্যাদি।

এছাড়া মৌসুম শেষ হওয়ায় বিদায়ের পথে থাকা বেল, বাঙ্গি ও তরমুজের মতো ফলও দেখা যাচ্ছে বাজারগুলোতে। এসব ফলের গন্ধ সুবাস ছড়াচ্ছে প্রতিটি বাজারে।

গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু। এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়ও ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করছেন অনেকে। বাজারগুলো থেকে কিছুটা কম দামেই ফল বিক্রি হচ্ছে ভ্যানের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে।

শহরের দুই নম্বর রেল গেট, কালীরবাজার, চাষাড়াসহ ফলের ফলের দোকান গিয়ে দেখা গেছে, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি ফল বিক্রিতে। তারা মূলদোকানের সামনের অংশে মৌসুমি ফল রেখে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

এবাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। এছাড়া হিমসাগর, লেংড়াসহ বিভিন্ন জাতের আমও শোভা পাচ্ছে ফল দোকান গুলোতে। তবে লিচু পুরোদমে পরিপক্ব হলেও আম মাত্র আসতে শুরু করেছে বাজারে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ফল বাজারের বেশির ভাগ অংশ থাকবে মিষ্টি ও রসালো আমের দখলে।

চারারগোপের মায়ের দোয়া ফল ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী মাসুম মৃধা বলেন, এ বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু। প্রকার ভেদে প্রতি একশ লিচু পাইকারি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ থেকে সাড়ে চারশ টাকায়।

তিনি আরও বলেন, আমের বেচাকেনা এখনো পুরোপুরি জমে উঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরপুর মৌসুম। তাই লিচুর ব্যবসা জমজমাট।

এছাড়া মৌসুমের শেষ দিকে হলেও এখনও বাজারে তরমুজ আছে। দুইশ থেকে ৩শ টাকা পর্যন্ত প্রতি পিস তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে আমের বেচাকেনা জমে উঠবে। এখন বাজারে এসেছে হিমসাগর প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারে ফল কিনতে আসা রাজু আহমেদ বলেন, চারশ টাকা দিয়ে একশ লিচু কিনেছি। রসালো ফল লিচু ভাল মিষ্টি।

শহর জুড়েই মৌসুমী ফল ব্যবসাসীরা ফলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে। মাঝারী আকারের একটি কাঁঠাল কিনতে ক্রেতাদের খরচ হচ্ছে দুইশ থেকে তিনশ টাকা। তবে এখন পুরোপুরি বাজারে আসেনি কাঁঠাল। আর আনারসের হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি এলাকায় তালের শ্বাস বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। শহরের চাষাড়ায় ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করেন সোহেল নামের এক যুবক। সোহেল বলেন, আগে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করতাম। এখন মৌসুমি ফলের চাহিদা বেশি। তাই ফল বিক্রি করছি। দাম কিছুটা বেশি হলেও মানুষ ফল কিনছেন। এতে আমাদের লাভও ভালো হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন