মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সন্ত্রাসীদের ছুরির আঘাতে আহত ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার গভীর রাত প্রায় দেড় ঘটিকার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ দিনপর মারা গেছেন।

নিহত ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া (৫০) উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মৃত শাহজাহান ওরফে ডেঙ্গর আলীর ছেলে।

জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়িমজলিশ এলাকার সন্ত্রাসী রাজ্জাক, মেহেদি, মহসীন, ইমদাদ হোসেন, জামান, শামীম, সজিব, শাহ আলমসহ, আরো ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া, ভাতিজা ইয়াছিন হোসাইন নির্ঝর ও তার বড় ভাই ফজল মিয়ার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

ঐ সময় সন্ত্রাসীরা শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে নারী-ভুড়ি বের করে মারাত্মকভাবে আহত করে দুলাল মিয়াকে। পরে আহত দুলাল মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিওতে থেকে ৪দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

উল্লেখ্য, বাড়িমজলিশ গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে রাজ্জাকের সঙ্গে নিহত দুলাল মিয়ার বড় ভাই ফজল মিয়া পার্টনারে জমি-জমার ব্যবসা করতো। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজ্জাক মোবাইলে ফজল মিয়াকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় ব্যবসায়ীক লেনদেন কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে ফজল মিয়াকে মারধর শুরু করে। এ খবর পেয়ে ফজল মিয়ার ছেলে নির্ঝর ও তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুব আলম সুমন বলেন, ঘটনার পর পরই আমরা থানায় একটি মামলা নিয়ে আসামী ইমদাদ হোসেন(৫৫) ও আরমান(৪৩)কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। বর্তমানে ওই মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে রূপান্তরিত হবে এবং বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলমান রয়েছে।