০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

  • ১০:৩১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৪০

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দেশি আখ ও হাইব্রীড জাতের আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু ও পানি নিষ্কাশন জমিতে গেন্ডারি,হাইব্রীড জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। আখ চাষিরা হাসি মুখে আখ ক্ষেতেই খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করছে।

আখ চাষিদের দেয়া তথ্য মতে, বাংলা সনের আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপন করা হয়। আখ বাজারজাত করনের উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় ৮ হতে ১০ মাস। প্রতি একর জমিতে ৩০ হাজার হতে ৩৫ হাজার পিস আখের ফলন হয়। প্রতি পিস ১০ টাকা হতে ১৫ টাকা এমনকি চাহিদা অনুযায়ী এর চেয়ে অধিক দামেও বিক্রি করা হয়। একরে ৩.৫০ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকার আখ বিক্রয় করা যায়। প্রতি একর আখ চাষে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আখ চাষের পাশাপাশি আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আলু, শাক ও অন্যান্য সাথী ফসল চাষ করা যায় বলে চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানায় আখ চাষিরা।

উপজেলার হামছাদী গ্রামের আখ চাষি আফজাল বলেন, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য চাষাবাদের চেয়ে আখ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।

উপজেলার প্রেমের বাজার গ্রামের আখ চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, আখ চাষে অধিক মুনাফা হলেও ব্যাপকহারে আখ চাষের পরিকল্পনা নেই। কারন এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খায় মানুষ,বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় করা যায় না। সুগারমিল এই জাতের আখ ক্রয় করে না। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় কিংবা কাঁচামাল হিসেবে অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা হলে,চাষিরা ব্যাপক হারে আখ চাষ করতে পারবে।

সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখ গেন্ডারি ও হাইব্রিড নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্যই, এই জাতের আখের রস দিয়ে চিনি, গুড় তৈরি করা হয় না। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক চাহিদা আছে আমাদের দেশে। সোনারগাঁও উপজেলায় প্রতি বছর ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

১০:৩১:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সোনারগাঁও পৌরসভা ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দেশি আখ ও হাইব্রীড জাতের আখ চাষে ব্যাপক সাফল্য ও অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভবান হওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উঁচু ও পানি নিষ্কাশন জমিতে গেন্ডারি,হাইব্রীড জাতের আখ চাষ করা হয়েছে। আখ চাষিরা হাসি মুখে আখ ক্ষেতেই খুচরা ও পাইকারি দামে বিক্রি করছে।

আখ চাষিদের দেয়া তথ্য মতে, বাংলা সনের আশ্বিন ও কার্তিক মাসে আখ জমিতে রোপন করা হয়। আখ বাজারজাত করনের উপযোগী হতে সময় লাগে প্রায় ৮ হতে ১০ মাস। প্রতি একর জমিতে ৩০ হাজার হতে ৩৫ হাজার পিস আখের ফলন হয়। প্রতি পিস ১০ টাকা হতে ১৫ টাকা এমনকি চাহিদা অনুযায়ী এর চেয়ে অধিক দামেও বিক্রি করা হয়। একরে ৩.৫০ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষাধিক টাকার আখ বিক্রয় করা যায়। প্রতি একর আখ চাষে উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। আখ চাষের পাশাপাশি আখক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আলু, শাক ও অন্যান্য সাথী ফসল চাষ করা যায় বলে চাষে আগ্রহ বাড়ছে বলে জানায় আখ চাষিরা।

উপজেলার হামছাদী গ্রামের আখ চাষি আফজাল বলেন, তুলনামূলকভাবে অন্যান্য চাষাবাদের চেয়ে আখ চাষে অধিক মুনাফা পাওয়া যায়।

উপজেলার প্রেমের বাজার গ্রামের আখ চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, আখ চাষে অধিক মুনাফা হলেও ব্যাপকহারে আখ চাষের পরিকল্পনা নেই। কারন এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খায় মানুষ,বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় করা যায় না। সুগারমিল এই জাতের আখ ক্রয় করে না। বাণিজ্যিকভাবে বিক্রয় কিংবা কাঁচামাল হিসেবে অন্যকোনো কাজে ব্যবহার করা হলে,চাষিরা ব্যাপক হারে আখ চাষ করতে পারবে।

সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, ইশ্বরদী-৩৭/৩৮ জাতের চিবিয়ে খাওয়া আখ গেন্ডারি ও হাইব্রিড নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। এই জাতের আখ শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্যই, এই জাতের আখের রস দিয়ে চিনি, গুড় তৈরি করা হয় না। বাণিজ্যিকভাবেও বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে শুধু চিবিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক চাহিদা আছে আমাদের দেশে। সোনারগাঁও উপজেলায় প্রতি বছর ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়, চলতি বছরে উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে ইশ্বরদী ৩৭/৩৮ জাতের আখ চাষ করা হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন