০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল

ঐক্য না থাকলে কখনই আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না : বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন

  • ১১:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
  • / ৪৫৯

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি যিনি আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এই আসনের এমপি মনোনয়ন দিয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তিনি আমার উপর আস্থা রেখে নারায়ণগঞ্জের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেলায় আমাকে জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব কাউন্সিল করার পরামর্শ দিয়ে আজকে কাউন্সিল করার সুযোগ করে দিয়েছে। তার জন্য আমি ও আমার পরিবার তার কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আমাদেরকে জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই আমরা পেলাম আন্দোলন সংগ্রাম। আমরা চেষ্টা করেছি নারায়ণগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সবাইকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য। সে আহবানে সাড়া দিয়ে আপনারা আমাদের আহবায়ক কমিটিকে সহযোগিতা করেছেন। আজকের কাউন্সিল পর্যন্ত আপনারা আমাদের পাকে ছিলেন তার জন্য আমি আমাদের আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি একটি প্রতিকূল অবস্থা থেকে আজকে আমাদেরকে রাজনীতি করতে হচ্ছে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই সময় এখানে একটি কাউন্সিল করা কি যে একটি দুর্বিষের অবস্থা তা আপনারা সবাই জানেন। অনেক ষড়যন্ত্র আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমাকে অনেক শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে।

তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে যে জিনিসটি বেশি প্রয়োজন সেটি হলো ঐক্য। মনে রাখতে হবে ঐক্য না থাকলে যতই আমরা নেতার সামনে বড় বড় স্লোাগান দেই ও যত বড় মিটিং মিছিল করি সেই সংগঠন দিয়ে কখনই আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না। তার জন্যই আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্য খালি মুখে মুখে বললে চলবে না কাজেও প্রমাণ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, দলের ভিতরে ভালো-মন্দ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যদি কেউ মন্দ হয় তার বিরুদ্ধে প্রকাক্যে মিথ্যাচার কিংবা প্রকাক্যে সত্য কথা বলেও তার মান সম্মানের ঘাটতি সৃষ্টি করা যাবে না। কোন ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। শুধুমাত্র দলের প্রতি দলের নেতার প্রতি আনুগতশীল কাজ করতে হবে।

ভাই ভাই ই বলে দলকে বিভক্ত করা হচ্ছে। কে মনোনয়ন নিবেন আসে থাকতেই তার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী এলাকার দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এটি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল সফল বাস্তবায়ন করতে পারে না। কোন নেতাকর্মী এর জন্য দোষী না। দোষী আমরা যারা নেতৃত্ব করতে চাই, আমরা এমপি হতে চাই। এগুলো শুধু আমাদের মধ্যেই আমাদেরকে এগুলো পরিহার করতে হবে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলর ভাইয়েরা আপনাদের সাথে আমার এত দিন কোন কথা হয় নাই। আজকেকেমন খুলে কথা বলছি। শুধুমাত্র দলের নেতা দল হবে আমাদের। আর অন্য যা আছে এগুলোকে পরিহার করতে হবে। আর তা না হলে ঐক্য আনা যাবে না। মুখে বললে ঐক্য হবে না ঐক্য করতে হবে।

যারা নবীন তাদের মধ্যে অবশ্যই নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু মুরুব্বি ও সিনিয়রদের অবজ্ঞা করে নয়। তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। এখন যে প্রতিযোগিতা হয় এখানে মুরুব্বি ও সিনিয়াদেরকে অপমানিত করা হয়। সামনে বসে তাকে আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল আর মুরুব্বি আসে ঘুরে ফিরে যেনো সে না দেখে। এটা ভালো মানুষের কাজ না। মুরুব্বী ওসিনাদেরকে সম্মান দিয়ে এই দলটাকে করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি বৃহত্তর দল হলো বিএনপি। এখানে নেতৃত্ব বিকাকের প্রতিযোগিতা থাকবেই। সেই নেতৃত্ব যেন না হয় হিংসাত্ম এবং ধ্বংসাত্মক। এই প্রতিযোগিতা যেন না হয় ব্যক্তিগত আক্রোকের। আমরা প্রতিযোগিতা করব নেতা হয়ে যাব এরপর আর কোন হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। সবাইকে তার নেতৃত্ব মেনে নিতে হবে এবং তার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। আজকে কাউন্সিলের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে যাব। তাহলে আমরা ওই ভাইরেই থাকবো দলের থাকবো না।

আপনারা জানেন এই নারায়ণগঞ্জে অনেক যোগ্য নেতা আছেন। আমার পাশাপাশি যারা রাজনীতি করেন অনেক যোগ্য নেতা আছেন তাদেরকে আমি অনেক সম্মান করি। দলের দিনে তারা অনেক বড় সেক্রিফাইস করেছেন। আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য তারা কেউ মনোনয়নপত্র সাবমিট করেনি। তাদের এই মহানগতার জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার চেয়ে তারাও যোগ্য ছিল তারা চাইলে করতে পারতেন। কিন্তু তারা করেনি এই দলের কথা বিবেচনা করে। তারা আমাকে সম্মানিত করেছেন আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি অবশ্যই আপনাদেরকে এই শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করব। যখন আমি সম্মান ও শ্রদ্ধা দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবো না তখন আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিব।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আমাদের মধ্যে যত রকম ভেদাভেদ আছে সবকিছু ভুলে যান। আমি আল্লাহকে হাজি নাজির করে বলছি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সবকিছু ভুলে যাব কে কি করেছেন। আপনাদের অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছি। একজনের প্রতি ভালোবাসা বেশি থাকে অন্যজনের প্রতি কম থাকবে।

রাজপথের আন্দোলনের সংগ্রামে থাকবে তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করবো। আর ঘরে বসে থাকবেন কেউ কারো ভাইয়ের হবেন ওদের জন্য আমি নেতা হইনি আর তাদেরকেও আমি নেতা বানাবো না। যারা যোগ্য ত্যাগী তাদেরকেই মূল্যায়ন করবো। আমরা যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে রেখে যেতে চাই যারা আগামী দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করবেন।

নানারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ায় মাশুকুল ইসলাম রাজিবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আজকের সম্মেলনে উদাহরণ তৈরি করেছে রাজিব। বর্তমানে যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে । এ সময় একটি প্রয়োজন সেটি হলো আমাদের ঐক্য সেটি সে উপলব্ধি করে। আজকে রাজিব তার পদ প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়ে খোকনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেক্রেটারি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

এটি অনেক বড় একটি সেক্রিফাইস। ছাত্র জীবন থেকে সে গড়ে উঠেছে। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন জায়গায় সে প্রথম নির্বাচিত ছাত্রদলের ভিপি হয়েছিলেন। সাংগঠনিক ক্ষমতা, বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা সবকিছু তার মধ্যে আছে। তারপরও দলের জন্য রাজিবের যে সেক্রিফাইজ তা সবাইকে মনে রাখতে হবে। যে এমন যদি সেক্রিফাইস করতে পারি দলকে ভালোবাসি। সমস্ত কাউন্সিলর এর পক্ষ থেকে আমি রাজীবকে ধন্যবাদ জানাই। এ উপযুক্ত সময়ে রাজীব যে সেক্রিপাইস করেছে আমরা অবশ্যই আগামীতে এগুলা মনে রাখব।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল

ঐক্য না থাকলে কখনই আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না : বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন

১১:৫৮:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি যিনি আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এই আসনের এমপি মনোনয়ন দিয়েছিল। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে তিনি আমার উপর আস্থা রেখে নারায়ণগঞ্জের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেলায় আমাকে জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব কাউন্সিল করার পরামর্শ দিয়ে আজকে কাউন্সিল করার সুযোগ করে দিয়েছে। তার জন্য আমি ও আমার পরিবার তার কাছে আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আমাদেরকে জেলা বিএনপির দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকেই আমরা পেলাম আন্দোলন সংগ্রাম। আমরা চেষ্টা করেছি নারায়ণগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে সবাইকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার জন্য। সে আহবানে সাড়া দিয়ে আপনারা আমাদের আহবায়ক কমিটিকে সহযোগিতা করেছেন। আজকের কাউন্সিল পর্যন্ত আপনারা আমাদের পাকে ছিলেন তার জন্য আমি আমাদের আহবায়ক কমিটির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতির হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।

শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল আবাসিক এলাকার গিয়াস উদ্দিন ইসলামিক মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি একটি প্রতিকূল অবস্থা থেকে আজকে আমাদেরকে রাজনীতি করতে হচ্ছে। আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। এই সময় এখানে একটি কাউন্সিল করা কি যে একটি দুর্বিষের অবস্থা তা আপনারা সবাই জানেন। অনেক ষড়যন্ত্র আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা আমাকে অনেক শক্তি ও সাহস যুগিয়েছে।

তিনি বলেন, এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে যে জিনিসটি বেশি প্রয়োজন সেটি হলো ঐক্য। মনে রাখতে হবে ঐক্য না থাকলে যতই আমরা নেতার সামনে বড় বড় স্লোাগান দেই ও যত বড় মিটিং মিছিল করি সেই সংগঠন দিয়ে কখনই আদর্শ বাস্তবায়ন করা যাবে না। তার জন্যই আমাদের ঐক্যের প্রয়োজন ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। ঐক্য খালি মুখে মুখে বললে চলবে না কাজেও প্রমাণ রাখতে হবে।

তিনি বলেন, দলের ভিতরে ভালো-মন্দ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যদি কেউ মন্দ হয় তার বিরুদ্ধে প্রকাক্যে মিথ্যাচার কিংবা প্রকাক্যে সত্য কথা বলেও তার মান সম্মানের ঘাটতি সৃষ্টি করা যাবে না। কোন ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। শুধুমাত্র দলের প্রতি দলের নেতার প্রতি আনুগতশীল কাজ করতে হবে।

ভাই ভাই ই বলে দলকে বিভক্ত করা হচ্ছে। কে মনোনয়ন নিবেন আসে থাকতেই তার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচনী এলাকার দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এটি নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল সফল বাস্তবায়ন করতে পারে না। কোন নেতাকর্মী এর জন্য দোষী না। দোষী আমরা যারা নেতৃত্ব করতে চাই, আমরা এমপি হতে চাই। এগুলো শুধু আমাদের মধ্যেই আমাদেরকে এগুলো পরিহার করতে হবে।

তিনি বলেন, কাউন্সিলর ভাইয়েরা আপনাদের সাথে আমার এত দিন কোন কথা হয় নাই। আজকেকেমন খুলে কথা বলছি। শুধুমাত্র দলের নেতা দল হবে আমাদের। আর অন্য যা আছে এগুলোকে পরিহার করতে হবে। আর তা না হলে ঐক্য আনা যাবে না। মুখে বললে ঐক্য হবে না ঐক্য করতে হবে।

যারা নবীন তাদের মধ্যে অবশ্যই নেতৃত্বে প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু মুরুব্বি ও সিনিয়রদের অবজ্ঞা করে নয়। তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। এখন যে প্রতিযোগিতা হয় এখানে মুরুব্বি ও সিনিয়াদেরকে অপমানিত করা হয়। সামনে বসে তাকে আমাদের যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল আর মুরুব্বি আসে ঘুরে ফিরে যেনো সে না দেখে। এটা ভালো মানুষের কাজ না। মুরুব্বী ওসিনাদেরকে সম্মান দিয়ে এই দলটাকে করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি বৃহত্তর দল হলো বিএনপি। এখানে নেতৃত্ব বিকাকের প্রতিযোগিতা থাকবেই। সেই নেতৃত্ব যেন না হয় হিংসাত্ম এবং ধ্বংসাত্মক। এই প্রতিযোগিতা যেন না হয় ব্যক্তিগত আক্রোকের। আমরা প্রতিযোগিতা করব নেতা হয়ে যাব এরপর আর কোন হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না। সবাইকে তার নেতৃত্ব মেনে নিতে হবে এবং তার নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। আজকে কাউন্সিলের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে যাব। তাহলে আমরা ওই ভাইরেই থাকবো দলের থাকবো না।

আপনারা জানেন এই নারায়ণগঞ্জে অনেক যোগ্য নেতা আছেন। আমার পাশাপাশি যারা রাজনীতি করেন অনেক যোগ্য নেতা আছেন তাদেরকে আমি অনেক সম্মান করি। দলের দিনে তারা অনেক বড় সেক্রিফাইস করেছেন। আমাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য তারা কেউ মনোনয়নপত্র সাবমিট করেনি। তাদের এই মহানগতার জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার চেয়ে তারাও যোগ্য ছিল তারা চাইলে করতে পারতেন। কিন্তু তারা করেনি এই দলের কথা বিবেচনা করে। তারা আমাকে সম্মানিত করেছেন আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন । আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি অবশ্যই আপনাদেরকে এই শ্রদ্ধা ও সম্মান দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করব। যখন আমি সম্মান ও শ্রদ্ধা দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবো না তখন আমি দায়িত্ব ছেড়ে দিব।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে আমাদের মধ্যে যত রকম ভেদাভেদ আছে সবকিছু ভুলে যান। আমি আল্লাহকে হাজি নাজির করে বলছি আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সবকিছু ভুলে যাব কে কি করেছেন। আপনাদের অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছি। একজনের প্রতি ভালোবাসা বেশি থাকে অন্যজনের প্রতি কম থাকবে।

রাজপথের আন্দোলনের সংগ্রামে থাকবে তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করবো। আর ঘরে বসে থাকবেন কেউ কারো ভাইয়ের হবেন ওদের জন্য আমি নেতা হইনি আর তাদেরকেও আমি নেতা বানাবো না। যারা যোগ্য ত্যাগী তাদেরকেই মূল্যায়ন করবো। আমরা যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করে রেখে যেতে চাই যারা আগামী দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করবেন।

নানারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ায় মাশুকুল ইসলাম রাজিবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আজকের সম্মেলনে উদাহরণ তৈরি করেছে রাজিব। বর্তমানে যে আন্দোলন সংগ্রাম চলছে । এ সময় একটি প্রয়োজন সেটি হলো আমাদের ঐক্য সেটি সে উপলব্ধি করে। আজকে রাজিব তার পদ প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়ে খোকনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সেক্রেটারি হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

এটি অনেক বড় একটি সেক্রিফাইস। ছাত্র জীবন থেকে সে গড়ে উঠেছে। তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতন জায়গায় সে প্রথম নির্বাচিত ছাত্রদলের ভিপি হয়েছিলেন। সাংগঠনিক ক্ষমতা, বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা সবকিছু তার মধ্যে আছে। তারপরও দলের জন্য রাজিবের যে সেক্রিফাইজ তা সবাইকে মনে রাখতে হবে। যে এমন যদি সেক্রিফাইস করতে পারি দলকে ভালোবাসি। সমস্ত কাউন্সিলর এর পক্ষ থেকে আমি রাজীবকে ধন্যবাদ জানাই। এ উপযুক্ত সময়ে রাজীব যে সেক্রিপাইস করেছে আমরা অবশ্যই আগামীতে এগুলা মনে রাখব।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন