০২:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অবশেষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতারা একমঞ্চে

  • ১২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
  • / ৪৩২

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচির পালনের পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আর এই জন্য তাদের হামলা, মামলা, হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ ও আভ্যন্তরিণ কোন্দল নেতাকর্মীদের বিভক্ত করে রেখেছে।

ফলে ঐক্যবব্ধ রাজনীতি থেকে অনেকটা পিছিয়ে যায় তারা। তাই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামকে বেগমান করতে হলে বিএনপির শীর্ষনেতাদের এক মঞ্চে আসা জরুরী বলে মনে করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে। কে শোনে কার কথা। কে তাদের এক মঞ্চে নিয়ে আসবে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে শনিবার (১২ নভেম্বর)। আর এর নেপথ্যে কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনায় এই নেতারা এক মঞ্চে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

আগামী ১০ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে শনিবার সকালে নগরীর হোসিয়ারী সমিতির কমিউিনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এক মঞ্চে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক বিএনপির এমপি গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির ভাপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুকে। যা দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়নি। এই নেতাদের মধ্যে নানা মতপ্রার্থক ও আভ্যন্তরিন বিরোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। যারফলে দলের সাংগঠনিক ভীত নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রধান বক্তা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ বক্তা বিএনপি’র সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটু।

এদিকে শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে দেখে প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে তোলে। যার প্রভাব পড়বে আগামীদিনের আন্দোলন সংগ্রামে। কারণ এতোদিন ধরে তারা দেখে এসেছে গিয়াস উদ্দিন ও মামুন মাহমুদের মধ্যে বিরোধ। আবার নজরুল ইসলাম আজাদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কাজী মনিরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুকে।

আবার গিয়াস উদ্দিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মনিরুল ইসলাম রবি, মামুন মাহমুদকে। মোটকথা এই নেতাদের গিয়ে জেলা বিএনপির নেতাকর্মী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। অনেক পরে হলেও এই শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে উপস্থিতি নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন বার্তা দিবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

দলীয় সূত্রমতে, আগামী জাতীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাচ্ছে বিএনপি। পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারাদেশের প্রতিটি বিভাগে গণসমাবেশ করছে দলটি। আর আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তিনি এক মঞ্চে উঠার নির্দেশ দিয়েছেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

অবশেষে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতারা একমঞ্চে

১২:৩৭:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। নানা চড়াই উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচির পালনের পাশাপাশি তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে আসছে। আর এই জন্য তাদের হামলা, মামলা, হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ ও আভ্যন্তরিণ কোন্দল নেতাকর্মীদের বিভক্ত করে রেখেছে।

ফলে ঐক্যবব্ধ রাজনীতি থেকে অনেকটা পিছিয়ে যায় তারা। তাই সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামকে বেগমান করতে হলে বিএনপির শীর্ষনেতাদের এক মঞ্চে আসা জরুরী বলে মনে করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে। কে শোনে কার কথা। কে তাদের এক মঞ্চে নিয়ে আসবে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে শনিবার (১২ নভেম্বর)। আর এর নেপথ্যে কঠোর ভুমিকা পালন করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনায় এই নেতারা এক মঞ্চে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

আগামী ১০ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে শনিবার সকালে নগরীর হোসিয়ারী সমিতির কমিউিনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এক মঞ্চে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক বিএনপির এমপি গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা বিএনপির ভাপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুকে। যা দীর্ঘদিন ধরে দেখা যায়নি। এই নেতাদের মধ্যে নানা মতপ্রার্থক ও আভ্যন্তরিন বিরোধ ছিল চোখে পড়ার মতো। যারফলে দলের সাংগঠনিক ভীত নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রধান বক্তা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) এড. আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ বক্তা বিএনপি’র সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) বেনজীর আহমেদ টিটু।

এদিকে শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে দেখে প্রস্তুতিমূলক সভায় উপস্থিত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে তোলে। যার প্রভাব পড়বে আগামীদিনের আন্দোলন সংগ্রামে। কারণ এতোদিন ধরে তারা দেখে এসেছে গিয়াস উদ্দিন ও মামুন মাহমুদের মধ্যে বিরোধ। আবার নজরুল ইসলাম আজাদের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি কাজী মনিরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপুকে।

আবার গিয়াস উদ্দিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি মনিরুল ইসলাম রবি, মামুন মাহমুদকে। মোটকথা এই নেতাদের গিয়ে জেলা বিএনপির নেতাকর্মী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। অনেক পরে হলেও এই শীর্ষ নেতাদের এক মঞ্চে উপস্থিতি নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনে নতুন বার্তা দিবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা।

দলীয় সূত্রমতে, আগামী জাতীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল গোছাচ্ছে বিএনপি। পাশাপাশি সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সারাদেশের প্রতিটি বিভাগে গণসমাবেশ করছে দলটি। আর আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তিনি এক মঞ্চে উঠার নির্দেশ দিয়েছেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন