০৯:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির কমিটি ঘোষণার পরেও তালিকা প্রকাশ নিয়ে লুকোচুরি

  • ০৮:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • / ৫০৪

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং অন্যভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহেদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। সম্প্রতি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলেও তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সব কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও অদৃশ্য কারণে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে কমিটির তালিকা প্রকাশ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা বলেন,সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোকদের কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।এবং বিদ্রোহী ও মূল ধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি করে ভয়ে আছেন যদি তারা যেভাবে ইউনিয়ন কমিটি দেওয়ার ফলে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফের বিরুদ্ধে ঝাড়ু এবং জুতা মিছিল বের করেন এইবারও যদি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেন তাহলে মান্নান ও মোশারফ এর পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত প্রায় সবগুলি কমিটির অনুমোদনের কাগজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটির শুধুমাত্র দুজনের নাম জানা গেছে। এতে করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ও অসন্তোষ। তাছাড়া দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগ ঘেঁষা নেতা মোশারফ হোসেনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানতে পারছে না তৃণমূল।

আর এজন্য তারা দায়ী করছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে।

তাদের মতে মান্নানের নোংরা রাজনীতির কারণে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা গণমাধ্যমে না প্রকাশ করার বিষয়ে জানার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তাদের দুজনের মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বিএনপির কমিটি ঘোষণার পরেও তালিকা প্রকাশ নিয়ে লুকোচুরি

০৮:৩৪:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত। একভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং অন্যভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অধ্যাপক ওয়াহেদ বিন ইমতিয়াজ বকুল। সম্প্রতি সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলেও তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সব কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও অদৃশ্য কারণে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে কমিটির তালিকা প্রকাশ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা বলেন,সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অযোগ্য লোকদের কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।এবং বিদ্রোহী ও মূল ধারার নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি করে ভয়ে আছেন যদি তারা যেভাবে ইউনিয়ন কমিটি দেওয়ার ফলে আজহারুল ইসলাম মান্নান ও মোশারফের বিরুদ্ধে ঝাড়ু এবং জুতা মিছিল বের করেন এইবারও যদি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেন তাহলে মান্নান ও মোশারফ এর পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি কর্তৃক ঘোষিত প্রায় সবগুলি কমিটির অনুমোদনের কাগজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটির শুধুমাত্র দুজনের নাম জানা গেছে। এতে করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চরম উত্তেজনা ও অসন্তোষ। তাছাড়া দীর্ঘদিন আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপস্থিত থাকা আওয়ামী লীগ ঘেঁষা নেতা মোশারফ হোসেনকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মানতে পারছে না তৃণমূল।

আর এজন্য তারা দায়ী করছেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে।

তাদের মতে মান্নানের নোংরা রাজনীতির কারণে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির নামের তালিকা গণমাধ্যমে না প্রকাশ করার বিষয়ে জানার জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে তাদের দুজনের মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন