নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৭১’এর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি ও ২০০১ সালের ১৬ জুনের বোমা হামলায় পা হারানো বাবু চন্দন শীলকে নৌকার প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় ফুলের তোরা দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে বাবু চন্দন শীল (দাদা)র বাস ভবনে গিয়ে ফুলের তোরা দিয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক, নাসিক ৫নং ওয়ার্ড পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব আনিসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাছিম মাহমুদ তপন, মহানগর যুবলীগ নেতা শাহরিয়ার রহমান বাপ্পি, নাসিক ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শরিফ হোসেন (ইরান)সহ আরো অনেকে।

শুভেচ্ছা শেষে নেতৃবৃন্দ বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এমপি শামীম ওসমান অপরিহার্য এটা আরেকবার প্রমানিত হলো বাবু চন্দনশীল (দাদা) কে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মধ্য দিয়ে। একজন বাবু চন্দন শীল যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। একজন মুজিব আদর্শে প্রকৃত সৈনিক। যিনি ২০০১ সালের ১৬ই জুন আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা হামলায় পা হারিয়ে পঙ্গু হয়েও এখনও সামনে থেকে আওয়ামী লীগ কে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। অভিনন্দন আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় দাদা চন্দন শীলকে। শুকরিয়া আদায় করছি মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তিনি জানেন কিভাবে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হয়।

বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান (এমপি মহোদয়)কে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকে আমরা জেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান প্রার্থী পেয়েছি। পরিশেষে সকলের জন্য সুস্বাস্থ ও দীর্ঘায়ূ কামনা করেন তিনি।

গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টায় দলের মনোয়ন বোর্ডের ঘোষনায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু চন্দন শীলকে।

প্রসঙ্গত: ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ। মোট ভোটার সংখ্যা ৬১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৬৬ আর মহিলা ভোটার রয়েছে ১৪৪টি। এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক।