০৫:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লা থেকে ডেকে এনে বন্দরে জিম্মি করে প্রতারণা, নারী প্রতারক গ্রেপ্তার

  • ১০:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • / ৪৬৭

জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ স্বপ্না খান (৩৩) নামে প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত নারী প্রতারকের কাছ থেকে একটি নন জুডিশিয়াল ১০০ টাকার স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।

ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাতিয়ে নেওয়া নগদ টাকাসহ পালিয়ে গেছে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মুক্তা ও দিপুসহ অজ্ঞাত নামা আরো এক প্রতারক। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগস্থ ছোটবাগ এলাকা থেকে ওই প্রতারক মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক নারী স্বপ্না খান একই এলাকার মিরাজ মিয়ার স্ত্রী।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মুদী দোকানী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত নারী প্রতারক স্বাপ্না খানসহ পলাতক প্রতারক মুক্তা ও দিপুসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কেশবপুর এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম বাতাকান্দি বাজার এলাকায় মুদী দোকানে ব্যবসা করে আসছে। এ সুবাধে প্রতারক চক্রের নারী সদস্য মুক্তার সাথে উল্লেখিত দোকানীর পরিচয় হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) সকাল ৯টায় মুক্তা ৪ বছরের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে মুদি দোকানী নুরুল ইসলামকে বাতাকান্দি এলাকা থেকে ফুসলিয়ে বন্দরে নিয়ে আসে। পরে ওই দিন বেলা ১১টায় মুক্তাসহ মুদী দোকানী নুরুল ইসলাম বন্দরে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে নেমে পরে।

ওই সময় প্রতারক নারী মুক্তা হাসপাতালে না গিয়ে ওই মুদী দোকানীকে তার বান্ধবী স্বপ্না খানের বাড়ি দেওয়ানবাগ ছোটবাগ এলাকায় নিয়ে আসে। পরে প্রতারক নারী মুক্তা মুদী দোকানীকে ঘরে বসিয়ে রেখে বাহির দিয়ে দরাজা বন্ধ করে দিয়ে বলে তুই অনৈতিক কাজ করার জন্য এখানে আইস বলে তাকে বেদম ভাবে মারধর করে। এবং দোকানের মালামাল ক্রয় করার ৬৫ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারক চক্রের দুই নারী সদস্য স্বপ্না খান ও পলাতক প্রতারক মুক্তা ও মদনপুর চাঁনপুর এলাকার আবুল কালাম মিয়ার প্রতারক ছেলে দিপুসহ আরো এক প্রতারক।

পরে প্রতারক চক্রের বন্ধীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে ভুক্তেভোগী দোকানী ৯৯৯ বিষয়টি অবগত করলে ধামগড় ফাড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্বপ্না খান নামে এক প্রতারক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে মুদী দোকানঅ স্বক্ষরিত একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মহিলা প্রতারক স্বপ্না খানকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

কুমিল্লা থেকে ডেকে এনে বন্দরে জিম্মি করে প্রতারণা, নারী প্রতারক গ্রেপ্তার

১০:১৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ধামগড় ফাঁড়ী পুলিশ স্বপ্না খান (৩৩) নামে প্রতারক চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত নারী প্রতারকের কাছ থেকে একটি নন জুডিশিয়াল ১০০ টাকার স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।

ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাতিয়ে নেওয়া নগদ টাকাসহ পালিয়ে গেছে প্রতারক চক্রের মূলহোতা মুক্তা ও দিপুসহ অজ্ঞাত নামা আরো এক প্রতারক। গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দেওয়ানবাগস্থ ছোটবাগ এলাকা থেকে ওই প্রতারক মহিলাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক নারী স্বপ্না খান একই এলাকার মিরাজ মিয়ার স্ত্রী।

এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মুদী দোকানী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত নারী প্রতারক স্বাপ্না খানসহ পলাতক প্রতারক মুক্তা ও দিপুসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কেশবপুর এলাকার জসিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম বাতাকান্দি বাজার এলাকায় মুদী দোকানে ব্যবসা করে আসছে। এ সুবাধে প্রতারক চক্রের নারী সদস্য মুক্তার সাথে উল্লেখিত দোকানীর পরিচয় হয়।

এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) সকাল ৯টায় মুক্তা ৪ বছরের এক প্রতিবন্ধী ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করার কথা বলে মুদি দোকানী নুরুল ইসলামকে বাতাকান্দি এলাকা থেকে ফুসলিয়ে বন্দরে নিয়ে আসে। পরে ওই দিন বেলা ১১টায় মুক্তাসহ মুদী দোকানী নুরুল ইসলাম বন্দরে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে নেমে পরে।

ওই সময় প্রতারক নারী মুক্তা হাসপাতালে না গিয়ে ওই মুদী দোকানীকে তার বান্ধবী স্বপ্না খানের বাড়ি দেওয়ানবাগ ছোটবাগ এলাকায় নিয়ে আসে। পরে প্রতারক নারী মুক্তা মুদী দোকানীকে ঘরে বসিয়ে রেখে বাহির দিয়ে দরাজা বন্ধ করে দিয়ে বলে তুই অনৈতিক কাজ করার জন্য এখানে আইস বলে তাকে বেদম ভাবে মারধর করে। এবং দোকানের মালামাল ক্রয় করার ৬৫ হাজার ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় প্রতারক চক্রের দুই নারী সদস্য স্বপ্না খান ও পলাতক প্রতারক মুক্তা ও মদনপুর চাঁনপুর এলাকার আবুল কালাম মিয়ার প্রতারক ছেলে দিপুসহ আরো এক প্রতারক।

পরে প্রতারক চক্রের বন্ধীশালা থেকে মুক্তি পেয়ে ভুক্তেভোগী দোকানী ৯৯৯ বিষয়টি অবগত করলে ধামগড় ফাড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে স্বপ্না খান নামে এক প্রতারক নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ওই সময় তার কাছ থেকে মুদী দোকানঅ স্বক্ষরিত একটি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত মহিলা প্রতারক স্বপ্না খানকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে শুক্রবার দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন