০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গণধর্ষণ মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যা আটক-২

  • ১০:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২
  • / ৪৯৪

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : বন্দরে গণধর্ষণ মামলার আসামী রকি (২০) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদির পরিবারের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বুধবার (২৩ মার্চ সকালে) দুই জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলো শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল (১৭)। বিচার বহীভূত হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকারিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। এতে করে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ শুক্রবার বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. রকি ও তার চাচাতো ভাই শুকুর আলীর ছেলে আলমগীর মিলে একই এলাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে জোর পূর্বক গনধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। থানায় মামলা দায়েরের পর মামলার আসামি রকি ও আলমগীর পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থান খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন গত মঙ্গলবার বিকালে চিটাংরোড থেকে গনধর্ষন মামলার দুই আসামিকে ধরে এনে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই সময় পুলিশ আহত রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গনধর্ষন মামলার আসামী রকি মৃত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থালে ছুটে এসে রকি হত্যাকারিদের বিচারের আওতায় আনার আশ^াস্ত করলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গনধর্ষণ মামলার দুই আসামি রকি ও আলমগীরকে বাদীর পরিবারের লোকজন পিটুনি পুলিশে সোপর্দ করে। ওই সময় পুলিশ আসামি রকিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার দুই ভাই মো. শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

গণধর্ষণ মামলার আসামিকে পিটিয়ে হত্যা আটক-২

১০:১৪:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ মার্চ ২০২২

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : বন্দরে গণধর্ষণ মামলার আসামী রকি (২০) কে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে মামলার বাদির পরিবারের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বুধবার (২৩ মার্চ সকালে) দুই জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃতরা হলো শহিদুল ইসলাম (২৯) ও সাইফুল (১৭)। বিচার বহীভূত হত্যাকান্ডের ঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী হত্যাকারিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বুধবার দুপুরে ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রর্দশন করে। এতে করে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ শুক্রবার বন্দর উপজেলা মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. রকি ও তার চাচাতো ভাই শুকুর আলীর ছেলে আলমগীর মিলে একই এলাকার এক গার্মেন্টস কর্মীকে জোর পূর্বক গনধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক রকি ও আলমগীরকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। থানায় মামলা দায়েরের পর মামলার আসামি রকি ও আলমগীর পালিয়ে গেলে তাদের অবস্থান খবর পেয়ে বাদীর পরিবারের লোকজন গত মঙ্গলবার বিকালে চিটাংরোড থেকে গনধর্ষন মামলার দুই আসামিকে ধরে এনে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ওই সময় পুলিশ আহত রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গনধর্ষন মামলার আসামী রকি মৃত হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যার বিচারের দাবীতে দুপুরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ এলাকায় অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এতে মহাসড়কের দুই পাশে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা ঘটনাস্থালে ছুটে এসে রকি হত্যাকারিদের বিচারের আওতায় আনার আশ^াস্ত করলে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গনধর্ষণ মামলার দুই আসামি রকি ও আলমগীরকে বাদীর পরিবারের লোকজন পিটুনি পুলিশে সোপর্দ করে। ওই সময় পুলিশ আসামি রকিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রকির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ধর্ষিতার দুই ভাই মো. শহিদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন