১২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

  • ০৪:০২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
  • / ৫১৪

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কর্মব্যস্ত সোনারগাঁয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় উপজেলা বাসীর জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত-দিন মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে উপজেলা বাসীকে। এদিকে মশার উপদ্রব বাড়লেও স্থানীয় সোনারগাঁ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ গুলির পক্ষ থেকে মশা নিধনে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার পৌরসভা ও প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বাসী।

সোনারগাঁ উপজেলার প্রায় সবকটি এলাকায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার পর মশার কারণে কোথাও বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। ক্ষতিকর হলেও মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করছে মানুষ।

মশা নিধনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তাদের। শীত শেষ হতে না হতেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মশার উৎপাত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সহ জায়গায় মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পান না নাগরিকরা। মশারি, কয়েল ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করেও কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বাসির। সোনারগাঁ উপজেলায় নেই পর্যাপ্ত নালা, নেই ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান। যে যেখানে পারছেন সেখানেই বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এসব স্থানে জমে থাকা পানি থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। মশার উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে অনেকেই দিনের বেলাতেও ঘরে মশারি টানিয়ে রাখছেন।

সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার চায়ের দোকানী বদুন জানান, সন্ধ্যা নেমে আসলেই শুরু হয় মশার অত্যাচার এক যায়গায় বসে থাকা যায়না, কোন কাজ করা যায়না এ মশার অত্যাচারে, আগে দেখতাম উপজেলা প্রশাসন থেকে মশার ঔষধ ছিটাতো, বর্তমানে এর কোন বালাই নেই, আর মশার কয়েল জালিয়েও থাকা যায়না কয়েলে প্রচুর গ্যাস এতে শুরু হয় শাস কষ্ট।

কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা রুমানা আক্তার জানান, ‘মাগরিবের আজানের পরে তো আর মশারীর মধ্যে যাওয়া যায় না। সাংসারের অনেক কাজ থাকে কিন্তু মশার উপদ্রব যে পরিমাণ তাতে কয়েল জ্বালিয়ে সমাধান হয় না। গত বছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ব্যবহার করেছে কিন্তু এ বছর এখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ লোকমান মিয়া বলেন, সব জায়গার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে জলাশয় পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া উড়ন্ত মশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অন্তত সাত দিন পরপর ফগিং করতে হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জনজীবন-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

০৪:০২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কর্মব্যস্ত সোনারগাঁয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার যন্ত্রণায় উপজেলা বাসীর জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। রাত-দিন মশার যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে উপজেলা বাসীকে। এদিকে মশার উপদ্রব বাড়লেও স্থানীয় সোনারগাঁ পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ গুলির পক্ষ থেকে মশা নিধনে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার পৌরসভা ও প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বাসী।

সোনারগাঁ উপজেলার প্রায় সবকটি এলাকায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধির খবর পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার পর মশার কারণে কোথাও বসে বা দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না। ক্ষতিকর হলেও মশার কয়েল ও স্প্রে ব্যবহার করে কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করছে মানুষ।

মশা নিধনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি তাদের। শীত শেষ হতে না হতেই উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে মশার উৎপাত। রান্নাঘর থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সহ জায়গায় মশার যন্ত্রণা থেকে রেহাই পান না নাগরিকরা। মশারি, কয়েল ও ম্যাজিক ব্যাট ব্যবহার করেও কাজ হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে উপজেলা বাসির। সোনারগাঁ উপজেলায় নেই পর্যাপ্ত নালা, নেই ময়লা আবর্জনা ফেলার স্থান। যে যেখানে পারছেন সেখানেই বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ময়লা আবর্জনা ফেলছেন। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এসব স্থানে জমে থাকা পানি থেকে জন্ম নিচ্ছে মশা। মশার উপদ্রব এতোটাই বেড়েছে যে অনেকেই দিনের বেলাতেও ঘরে মশারি টানিয়ে রাখছেন।

সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার চায়ের দোকানী বদুন জানান, সন্ধ্যা নেমে আসলেই শুরু হয় মশার অত্যাচার এক যায়গায় বসে থাকা যায়না, কোন কাজ করা যায়না এ মশার অত্যাচারে, আগে দেখতাম উপজেলা প্রশাসন থেকে মশার ঔষধ ছিটাতো, বর্তমানে এর কোন বালাই নেই, আর মশার কয়েল জালিয়েও থাকা যায়না কয়েলে প্রচুর গ্যাস এতে শুরু হয় শাস কষ্ট।

কাঁচপুর এলাকার বাসিন্দা রুমানা আক্তার জানান, ‘মাগরিবের আজানের পরে তো আর মশারীর মধ্যে যাওয়া যায় না। সাংসারের অনেক কাজ থাকে কিন্তু মশার উপদ্রব যে পরিমাণ তাতে কয়েল জ্বালিয়ে সমাধান হয় না। গত বছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ব্যবহার করেছে কিন্তু এ বছর এখনো এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ লোকমান মিয়া বলেন, সব জায়গার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে জলাশয় পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি। তাছাড়া উড়ন্ত মশার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অন্তত সাত দিন পরপর ফগিং করতে হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন