১২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে কৃত্রিম সঙ্কটে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল

  • ০৮:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২
  • / ৪৯৩

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলা থেকে হঠাৎ করেই ভোজ্যতেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দোকানগুলোতে মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ সয়াবিন তেল। আর যাও মিলছে তা আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ব্যবসায়ীরা বলছে তাদের মজুদে নেই সয়াবিন তেল। তবে ক্রেতারা বলছেন দোকান থেকে তেল সরিয়ে অন্যত্র মজুদ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।

রবিবার (৬ মার্চ) সকালে সরেজমিনে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলোতে গিয়ে সয়াবিন তেলের সঙ্কটের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। যে কয়টি দোকানে রয়েছে সেখানেও তেল রয়েছে কিছু পরিমাণের।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজারের মুদি দোকানের মালিক পিয়ার হোসেন জানান, আন্তর্জাতিকভাবেই তেলের দাম বাড়ছে। এছাড়া কোম্পানি থেকেই সাপ্লাই নেই। আর যা কিনে আনি তাও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। এতে করে এমআরপি মূল্যে বিক্রি করলেও আমাদের লস হবে। তাই গায়ের মূল্যে তেল বিক্রি করতে পারছি না,মূল্য বেশি নিতে হচ্ছে।

কাঁচপুর কাঁচা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ৫ লিটার তেলের গায়ের মূল্য ৮০০ টাকা। কিন্তু এই দামে বিক্রি করলে হয় না, তাই ৮৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার কথা জানিয়ে কাঁচপুর বাজারের রহিম স্টোরের মালিক জানান, বাজারে খোলা তেলের দাম এক থেকে ২ হাজার টাকা বেশি। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোম্পানি তেল দেয় না। ১০ কার্টন তেল চাইলে আমাদের দুই কার্টন তেল দেয়। তেল থাকলে তো বিক্রি করব। তেলই নাই।

মদনপুর বাজারে তেল কিনতে আসা ফিরোজ মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, প্রতিবারের মতো তেল কিনতে বাজারে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে পড়েছি বিপাকে। এক তো তেলের দাম বেশি তার ওপর গায়ের মূল্যের চেয়ে আরও বেশি রাখছে। দোকানিদের কাছ থেকে পাঁচ লিটারের একটি বোতল ৮৫০ টাকায় নিয়েছি, যা আগে ছিল ৭৫০ টাকা।

আরেক ক্রেতা বলেন, দোকানে সয়াবিন তেল রয়েছে। কিন্তু কেউ সঠিক মূল্যে বিক্রি করছে না। দাম বাড়িয়ে বললে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আমি ১৬০ টাকার লিটারের তেল ১৮৫ টাকা করে দুই লিটার কিনেছি।

এছাড়া দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার অভিযোগ করে ক্রেতারা বলেন, এ রকম দফায় দফায় তেল বা যেকোন জিনিসের দাম যদি অহেতুক বাড়ে, অযৌক্তিকভাবে বাড়ে, তাহলে সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য অসহনীয়। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ার কারণে আমরা আগে যে পরিমাণ কিনতাম, তার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে। অপরদিকে রমজানের একমাস আগেই সয়াবিন তেল উধাও হওয়াতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ভোক্তাদের। দ্রব্য মূল্য সিন্ডিকেটের কবলে পড়ছে মনে করে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ চান ভোক্তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, কেউ যদি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চায়, তাহলে আমরা সে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে কৃত্রিম সঙ্কটে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল

০৮:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ মার্চ ২০২২

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলা থেকে হঠাৎ করেই ভোজ্যতেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দোকানগুলোতে মিলছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ সয়াবিন তেল। আর যাও মিলছে তা আবার বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ব্যবসায়ীরা বলছে তাদের মজুদে নেই সয়াবিন তেল। তবে ক্রেতারা বলছেন দোকান থেকে তেল সরিয়ে অন্যত্র মজুদ করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ।

রবিবার (৬ মার্চ) সকালে সরেজমিনে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলোতে গিয়ে সয়াবিন তেলের সঙ্কটের বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে। যে কয়টি দোকানে রয়েছে সেখানেও তেল রয়েছে কিছু পরিমাণের।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজারের মুদি দোকানের মালিক পিয়ার হোসেন জানান, আন্তর্জাতিকভাবেই তেলের দাম বাড়ছে। এছাড়া কোম্পানি থেকেই সাপ্লাই নেই। আর যা কিনে আনি তাও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। এতে করে এমআরপি মূল্যে বিক্রি করলেও আমাদের লস হবে। তাই গায়ের মূল্যে তেল বিক্রি করতে পারছি না,মূল্য বেশি নিতে হচ্ছে।

কাঁচপুর কাঁচা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ৫ লিটার তেলের গায়ের মূল্য ৮০০ টাকা। কিন্তু এই দামে বিক্রি করলে হয় না, তাই ৮৫০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ না থাকার কথা জানিয়ে কাঁচপুর বাজারের রহিম স্টোরের মালিক জানান, বাজারে খোলা তেলের দাম এক থেকে ২ হাজার টাকা বেশি। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কোম্পানি তেল দেয় না। ১০ কার্টন তেল চাইলে আমাদের দুই কার্টন তেল দেয়। তেল থাকলে তো বিক্রি করব। তেলই নাই।

মদনপুর বাজারে তেল কিনতে আসা ফিরোজ মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, প্রতিবারের মতো তেল কিনতে বাজারে আসলাম। কিন্তু বাজারে এসে পড়েছি বিপাকে। এক তো তেলের দাম বেশি তার ওপর গায়ের মূল্যের চেয়ে আরও বেশি রাখছে। দোকানিদের কাছ থেকে পাঁচ লিটারের একটি বোতল ৮৫০ টাকায় নিয়েছি, যা আগে ছিল ৭৫০ টাকা।

আরেক ক্রেতা বলেন, দোকানে সয়াবিন তেল রয়েছে। কিন্তু কেউ সঠিক মূল্যে বিক্রি করছে না। দাম বাড়িয়ে বললে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আমি ১৬০ টাকার লিটারের তেল ১৮৫ টাকা করে দুই লিটার কিনেছি।

এছাড়া দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার অভিযোগ করে ক্রেতারা বলেন, এ রকম দফায় দফায় তেল বা যেকোন জিনিসের দাম যদি অহেতুক বাড়ে, অযৌক্তিকভাবে বাড়ে, তাহলে সেটা অবশ্যই আমাদের জন্য অসহনীয়। অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ার কারণে আমরা আগে যে পরিমাণ কিনতাম, তার তুলনায় কম কিনতে হচ্ছে। অপরদিকে রমজানের একমাস আগেই সয়াবিন তেল উধাও হওয়াতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ভোক্তাদের। দ্রব্য মূল্য সিন্ডিকেটের কবলে পড়ছে মনে করে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ চান ভোক্তারা।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, কেউ যদি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে চায়, তাহলে আমরা সে বিষয়টি যাচাই বাছাই করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন