১০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে বিলুপ্তির পথে টক মিষ্টি কামরাঙ্গা

  • ১২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৬২২

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : বাড়ির আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠা গাছ কামরাঙ্গা। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে আমাদের কাছে।অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম।তাই ঔষধীগুণ সমৃদ্ধ ফল কামরাঙ্গা যেমন পুরণ করবে শরীরের পুষ্টি তেমনি প্রতিরোধ করবে নানান রোগ।

টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়।এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। কিন্তু কালের বিবর্তনে সোনারগাঁও উপজেলা থেকে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে এসে পড়েছে কামরাঙ্গা।

সরেজমিনে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চল ঘুরে কামরাঙ্গা গাছ লক্ষ্য করা গেছে খুবই সীমিত।

উপজেলার পৌরসভা এলাকার বয়স্ক ব্যক্তি ওয়াজেদ আলী বলেন, আগে আমাদের মহল্লার প্রতিটি বাড়িতেই কামরাঙ্গা গাছ লক্ষ্য করা গেছে কিন্তু যুগের পরিবর্তনের ফলে গাছপালা কেটে বিল্ডিং তৈরি করার ফলে এখন আর আগের মতো কামরাঙ্গা গাছ দেখা যায় না। আমরা শৈশবে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি সারানোর জন্য কামরাঙ্গা খেয়ে থাকতাম। কিন্তু এখন ইচ্ছে করলেও হাতের কাছে কামরাঙ্গা পাইনা।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার দেশি ফল বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান,অনেক সময় কাস্টমাররা দোকানে এসে কামরাঙ্গার খোঁজ করেন কিন্তু সঠিক সময়ে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি না। এতে করেই বুঝতে পারি ধীরে ধীরে ফলটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন কামরাঙ্গা আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী ফল। এই ফল শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ভিটামিন সি ভালো পরিমাণে থাকায় এটি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।আশা করি, সোনারগাঁ উপজেলার কৃষি বিভাগ উদ্যোগী হয়ে টক মিষ্টি কামরাঙ্গা ফলটি নিশ্চিত বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে বিলুপ্তির পথে টক মিষ্টি কামরাঙ্গা

১২:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : বাড়ির আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠা গাছ কামরাঙ্গা। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে আমাদের কাছে।অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম।তাই ঔষধীগুণ সমৃদ্ধ ফল কামরাঙ্গা যেমন পুরণ করবে শরীরের পুষ্টি তেমনি প্রতিরোধ করবে নানান রোগ।

টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়।এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। কিন্তু কালের বিবর্তনে সোনারগাঁও উপজেলা থেকে বিলুপ্তির শেষপ্রান্তে এসে পড়েছে কামরাঙ্গা।

সরেজমিনে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চল ঘুরে কামরাঙ্গা গাছ লক্ষ্য করা গেছে খুবই সীমিত।

উপজেলার পৌরসভা এলাকার বয়স্ক ব্যক্তি ওয়াজেদ আলী বলেন, আগে আমাদের মহল্লার প্রতিটি বাড়িতেই কামরাঙ্গা গাছ লক্ষ্য করা গেছে কিন্তু যুগের পরিবর্তনের ফলে গাছপালা কেটে বিল্ডিং তৈরি করার ফলে এখন আর আগের মতো কামরাঙ্গা গাছ দেখা যায় না। আমরা শৈশবে বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি সারানোর জন্য কামরাঙ্গা খেয়ে থাকতাম। কিন্তু এখন ইচ্ছে করলেও হাতের কাছে কামরাঙ্গা পাইনা।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার দেশি ফল বিক্রেতা আলমগীর হোসেন জানান,অনেক সময় কাস্টমাররা দোকানে এসে কামরাঙ্গার খোঁজ করেন কিন্তু সঠিক সময়ে তাদের চাহিদা পূরণ করতে পারি না। এতে করেই বুঝতে পারি ধীরে ধীরে ফলটি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার জাহাঙ্গীর আলম বলেন কামরাঙ্গা আঁশযুক্ত ফল হওয়ায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। যাদের হজম জনিত সমস্যা আছে তাদের জন্য এটি বেশ উপকারী ফল। এই ফল শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়। ভিটামিন সি ভালো পরিমাণে থাকায় এটি স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।আশা করি, সোনারগাঁ উপজেলার কৃষি বিভাগ উদ্যোগী হয়ে টক মিষ্টি কামরাঙ্গা ফলটি নিশ্চিত বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন