০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে সবুজ মাঠে লাল শাকের বাহার

  • ০৭:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪২৭

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁও উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নের উচু মানসম্পন্ন জমিগুলোর বুকে দিগন্তজুড়ে লাল শাক চাষ হয়েছে। চরাঞ্চলেও এবার আশাতীত লাল শাক চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আগাম প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে এসব শাক-সবজি। তবে দাম একটু বেশি। তারপরেও শীত পড়ার আগেই শীতের শাক-সবজি পেয়ে খুশি মনেই ক্রয় করছেন ক্রেতারা। আগাম লাল শাকের গন্ধ ও স্বাদ অনেকটাই আলাদা। এসব শাক-সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরাও দিন দিন সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।

গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার কৃষকরা শীতের আগেই শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারছেন। কৃষকরা জানান, একটু আগেভাগে শীতের শাক-সবজি বাজারের তুলতে পারলে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। পাশাপাশি লোকসানের কোন ভয়ও থাকে না।

পৌরসভার দরপত গ্রামের কৃষক করিম জানান, এবার সে এক একর জমিতে লাল শাকের আবাদ করেছেন। এক একর জমিতে তার প্রায় ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তিনি আশা করছেন বর্তমানে বাজারে যে দাম রয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে অন্তত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার লাল শাক বিক্রি করতে পারবেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন এর গ্রামের কৃষক আলমাস মিয়া তিনিও ১ একর জমিতে লাল শাকের আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ১০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন। আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। এছাড়াও কৃষক দেলোয়ার, জাহাঙ্গীর, আ.হক সহ আরো অনেক কৃষক লাল শাকের আবাদ করেছেন।

তাদের মতো উপজেলার ১টি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নে শতাধিক কৃষক লাল শাকের আবাদ করেছেন। শাক-সবজি চাষে প্রচুর লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জীবনযাত্রার মান বদলাতে শুরু করেছে।বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে একরে ৮০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, উপজেলায় এবার ৬৫ হেক্টর জমিতে লাল শাক আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, কম খরচে প্রচুর লাভ হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা শাক-সবজি চাষের দিকে ঝুকে পড়ছে। উপজেলার অসংখ্য কৃষক এসব চাষ করে থাকেন। উপার্জনের দিক দিয়ে এ উপজেলার মানুষ কোন ভাবেই পিছিয়ে নেই।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে সবুজ মাঠে লাল শাকের বাহার

০৭:২৪:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁও উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০ ইউনিয়নের উচু মানসম্পন্ন জমিগুলোর বুকে দিগন্তজুড়ে লাল শাক চাষ হয়েছে। চরাঞ্চলেও এবার আশাতীত লাল শাক চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আগাম প্রচুর শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে উঠতে শুরু করেছে এসব শাক-সবজি। তবে দাম একটু বেশি। তারপরেও শীত পড়ার আগেই শীতের শাক-সবজি পেয়ে খুশি মনেই ক্রয় করছেন ক্রেতারা। আগাম লাল শাকের গন্ধ ও স্বাদ অনেকটাই আলাদা। এসব শাক-সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষকরাও দিন দিন সবজি আবাদের দিকে ঝুঁকছেন।

গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার কৃষকরা শীতের আগেই শীতকালীন সবজি বাজারে তুলতে পারছেন। কৃষকরা জানান, একটু আগেভাগে শীতের শাক-সবজি বাজারের তুলতে পারলে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়। পাশাপাশি লোকসানের কোন ভয়ও থাকে না।

পৌরসভার দরপত গ্রামের কৃষক করিম জানান, এবার সে এক একর জমিতে লাল শাকের আবাদ করেছেন। এক একর জমিতে তার প্রায় ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তিনি আশা করছেন বর্তমানে বাজারে যে দাম রয়েছে, তা অব্যাহত থাকলে অন্তত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার লাল শাক বিক্রি করতে পারবেন।

নোয়াগাঁও ইউনিয়ন এর গ্রামের কৃষক আলমাস মিয়া তিনিও ১ একর জমিতে লাল শাকের আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ১০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন। আরও ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। এছাড়াও কৃষক দেলোয়ার, জাহাঙ্গীর, আ.হক সহ আরো অনেক কৃষক লাল শাকের আবাদ করেছেন।

তাদের মতো উপজেলার ১টি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়নে শতাধিক কৃষক লাল শাকের আবাদ করেছেন। শাক-সবজি চাষে প্রচুর লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি ও জীবনযাত্রার মান বদলাতে শুরু করেছে।বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে একরে ৮০ হাজার টাকার শাক বিক্রি করতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, উপজেলায় এবার ৬৫ হেক্টর জমিতে লাল শাক আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, কম খরচে প্রচুর লাভ হওয়ায় দিন দিন কৃষকরা শাক-সবজি চাষের দিকে ঝুকে পড়ছে। উপজেলার অসংখ্য কৃষক এসব চাষ করে থাকেন। উপার্জনের দিক দিয়ে এ উপজেলার মানুষ কোন ভাবেই পিছিয়ে নেই।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন