০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কচু চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সোনারগাঁয়ের কৃষকরা

  • ০৪:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ৪৭৮

# কচুতে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন- যা মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী #

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : আমাদের সবার কাছে একটি অতি পরিচিত সবজি, যার নাম কচু। কচুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারি। তাই দিন দিন কচু চাষের চাহিদা বেড়ে চলছে এর ব্যতিক্রময় সোনারগাঁয়ে।

সোনারগাঁও উপজেলার স্বল্প সংখ্যক এলাকায় কচু চাষে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই উপজেলায় কচুর চাষ করে এখন কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অনেক কৃষকরা আউশ ধানের পরিবর্তে কচুর চাষ করা শুরু করেছেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং কচুর ফলন ভালো হলে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় এ কৃষকরা।

জানা যায়, বর্ষার সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শুষ্ক মৌসুমে ঝোপঝাড় ও আগাছার জন্য অনেক জমিতে ধান রোপণ সম্ভব হয় না। যদি কেউ কেউ সেই ঝোপঝাড় আর আগাছা পরিস্কার করে চাষ করছেন। কিন্তু তাতে যে ফলন আসছে, তা বিক্রি করে খরচ উঠছে না। তাই চাষিরা বছরের পর বছর ধরে আউশ চাষে লোকসান করছিলেন।

স্থানীয় কচু চাষিরা বলেন, কচু ক্ষেত থেকে দুই সপ্তাহ পর কচুর লতি তোলা হয়। এর এক মাস পর কচুর ফুল তুলবেন চাষিরা, তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর কচুর কন্দ তোলার সময় হবে। কচুর চাষ করতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। তাছাড়াও কচুর চাষে তেমন খরচ হয় না।

সোহাগ নামে এক কৃষক জানান, ৩০‘শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন তিনি। এতে তাঁর প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফসল পুরোপুরি তুলতে পারলে এক লাখ টাকার বে-শি লাভ হবে। কৃষক আরো জানান, এলাকার এক জমির মালিকের কাছ থেকে এক মৌসুমের জন্য এক হাজার টাকায় পতিত এই জমিটি বর্গা নিয়েছেন তিনি।

সোনারগাঁও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, কয়েকজন কৃষক কচুর চাষ করে চাষিদের নতুন বিকল্পের সন্ধান দিয়েছেন। তাদের দেখা-দেখি অন্যান্য চাষিরাও কচু চাষে এগিয়ে এসেছেন। আলু বা ধান চাষের থেকে এই চাষে পরিশ্রম বা খরচও কিছুটা কম।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

কচু চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সোনারগাঁয়ের কৃষকরা

০৪:৩৬:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : আমাদের সবার কাছে একটি অতি পরিচিত সবজি, যার নাম কচু। কচুতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, যা মানব দেহের জন্য খুবই দরকারি। তাই দিন দিন কচু চাষের চাহিদা বেড়ে চলছে এর ব্যতিক্রময় সোনারগাঁয়ে।

সোনারগাঁও উপজেলার স্বল্প সংখ্যক এলাকায় কচু চাষে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই উপজেলায় কচুর চাষ করে এখন কৃষকরা স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অনেক কৃষকরা আউশ ধানের পরিবর্তে কচুর চাষ করা শুরু করেছেন। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এবং কচুর ফলন ভালো হলে লাভবান হতে পারবেন বলে মনে করছেন সোনারগাঁও উপজেলার স্থানীয় এ কৃষকরা।

জানা যায়, বর্ষার সময় পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শুষ্ক মৌসুমে ঝোপঝাড় ও আগাছার জন্য অনেক জমিতে ধান রোপণ সম্ভব হয় না। যদি কেউ কেউ সেই ঝোপঝাড় আর আগাছা পরিস্কার করে চাষ করছেন। কিন্তু তাতে যে ফলন আসছে, তা বিক্রি করে খরচ উঠছে না। তাই চাষিরা বছরের পর বছর ধরে আউশ চাষে লোকসান করছিলেন।

স্থানীয় কচু চাষিরা বলেন, কচু ক্ষেত থেকে দুই সপ্তাহ পর কচুর লতি তোলা হয়। এর এক মাস পর কচুর ফুল তুলবেন চাষিরা, তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পর কচুর কন্দ তোলার সময় হবে। কচুর চাষ করতে খুব একটা পরিশ্রম করতে হয় না। তাছাড়াও কচুর চাষে তেমন খরচ হয় না।

সোহাগ নামে এক কৃষক জানান, ৩০‘শতক জমিতে কচু চাষ করেছেন তিনি। এতে তাঁর প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ফসল পুরোপুরি তুলতে পারলে এক লাখ টাকার বে-শি লাভ হবে। কৃষক আরো জানান, এলাকার এক জমির মালিকের কাছ থেকে এক মৌসুমের জন্য এক হাজার টাকায় পতিত এই জমিটি বর্গা নিয়েছেন তিনি।

সোনারগাঁও উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, কয়েকজন কৃষক কচুর চাষ করে চাষিদের নতুন বিকল্পের সন্ধান দিয়েছেন। তাদের দেখা-দেখি অন্যান্য চাষিরাও কচু চাষে এগিয়ে এসেছেন। আলু বা ধান চাষের থেকে এই চাষে পরিশ্রম বা খরচও কিছুটা কম।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন