০২:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মধুমাসে রসালো ফলের সমাহার # স্বাদ নিতে ফলের বাজারে ভীড়

  • ১০:৪২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১
  • / ৫৭৫

আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডট কম : জৈষ্ঠ মাসের খরতাপে মানুষের জীবন দূর্বিসহ হলেও এই তাপেই মৈাসুমী ফল আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু পেঁকে মধুর গন্ধে পরিপূর্ন। তাই এ মাসকে বলা হয় মধুমাস। পঞ্জিকায় জ্যৈষ্ঠের সবে শুরু হলেও মধুমাসের সুমিষ্ট ও সুস্বাদু ঘ্রানে মৌ মৌ করছে ফলের মার্কেটের আশেপাশে। মধুমাসের সুমিষ্ট ও সুস্বাদ নানা ফলে টইটুম্বুর হয়ে উঠেছে নগরীর ফলের আড়ৎ থেকে বাজারগুলো। কেউ কেউ রসনা তৃপ্ত করতে কেউ আবার ঐতিহ্যকে স্মরণ করে প্রিয়জনের বাসায় থলে ভর্তি ফল কিনে পাঠাতে শুরু করেছে। কিন্ত দামের আস্ফালনে নিম্ন আয়ের মানুষেদের জন্য যেন দর্শনেই শান্তি। তবুও পরিবার পরিজনকে নিয়ে মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে ফলের দোকানগুলোতে ভিড় জমাছে উচ্চবিত্ত ,উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) নগরীর চাষাঢ়া, দ্বিগুবাবু বাজার, ২নং রেল গেট ফলপট্টি, মাসদাইর বাজারসহ নগরীর অলিতে গলিতে জেলাজুড়ে বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে এখন মধুমাসের রসালো ফল লিচু, আম ও কাঁঠালে,কালোজাম,তালের শাষ ভরপুর। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো দেশি ফল পেঁপে, কলা, বেল ও তরমুজও হাতছানি দিচ্ছে শহরের মানুষকে।

বৈশাখ মাসজুড়ে তরমুজ আর বাঙ্গির বাজার ছিলো জমজমাট। যা এখনও চলমান। তার সাথে এখন যোগ হয়েছে লিচু,কাঁঠাল ও পাকা আম। সবুজে ঢাকা ভেতরে লাল মিষ্টি প্রতিটি তরমুজ এবছর কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবছর।যার দাম দাড়াচ্ছে আকার ভেদে সাড়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঙ্গি আকার অনুসারে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা করে।

২ নং রেলগেটের ফলের দোকানগুলোতে প্রতিদিন গড়ে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার। ব্যবসায়ীরা বলছে করোনা না থাকলে এর দ্বিগুণ বিক্রি করতে পারতো তারা।

এ দিকে তরমুজ আর বাঙ্গির সাথে বাজার ভরে উঠেছে রসালো ফল লিচু,পাকা আম আর কাঁঠালে। শহরের ফলের দোকান কিংবা ফুটপাতে প্রতি ১’শ লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি ২৫০টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে। প্রতি কেজি পাকা আম বিক্রি হচ্ছে ৯০টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে। কিন্তু করোনায় এবারের ফল বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত ফল ব্যবসায়ীরা।তারা গতবারের চেয়ে এবার ফলের দাম কমিয়ে ও তেমন বিক্রি করতে পারছে না।

শহরের চারারগোপ এলাকার ফল ব্যবসায়ী মজিবুর মিয়া জানান, ফলতো আসতেছে কিন্তু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছি। করোনায় তো মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোই দায় সেখানে ফল তো শৌখিনতা ছাড়া আর কিছু না। তবুও অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছি। লাভের আশা ছেড়ে দিছি।

এ দিকে খুব কম পরিমাণেই বাজারে উঠেছে বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল। হাতে গোনা কয়েকটা দোকান ছাড়া তেমন চোখে পড়েনি। পরিমাণে কম হলেও দামটা বেশি। প্রতিটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। দ্বিগুবাবু বাজারের ফল বিক্রেতা বিল্লাল শেখ জানান, করোনায় দূর থেকে কাঁঠাল আনি নাই। গত বছর অনেক ফল নষ্ট হয়েছে।বিক্রি করতে পারিনি।পচেঁ নষ্ট হয়েছে,গুনতে হয়েছে লসের অংক।তাই নিজ গাছের কাঁঠাল নিয়েই আপাতত বাজার ধরতে বসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাঁঠালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মধুমাসে রসালো ফলের সমাহার # স্বাদ নিতে ফলের বাজারে ভীড়

১০:৪২:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মে ২০২১

আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডট কম : জৈষ্ঠ মাসের খরতাপে মানুষের জীবন দূর্বিসহ হলেও এই তাপেই মৈাসুমী ফল আম, কাঁঠাল, জাম, লিচু পেঁকে মধুর গন্ধে পরিপূর্ন। তাই এ মাসকে বলা হয় মধুমাস। পঞ্জিকায় জ্যৈষ্ঠের সবে শুরু হলেও মধুমাসের সুমিষ্ট ও সুস্বাদু ঘ্রানে মৌ মৌ করছে ফলের মার্কেটের আশেপাশে। মধুমাসের সুমিষ্ট ও সুস্বাদ নানা ফলে টইটুম্বুর হয়ে উঠেছে নগরীর ফলের আড়ৎ থেকে বাজারগুলো। কেউ কেউ রসনা তৃপ্ত করতে কেউ আবার ঐতিহ্যকে স্মরণ করে প্রিয়জনের বাসায় থলে ভর্তি ফল কিনে পাঠাতে শুরু করেছে। কিন্ত দামের আস্ফালনে নিম্ন আয়ের মানুষেদের জন্য যেন দর্শনেই শান্তি। তবুও পরিবার পরিজনকে নিয়ে মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে ফলের দোকানগুলোতে ভিড় জমাছে উচ্চবিত্ত ,উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকজন।

মঙ্গলবার (২৫ মে) নগরীর চাষাঢ়া, দ্বিগুবাবু বাজার, ২নং রেল গেট ফলপট্টি, মাসদাইর বাজারসহ নগরীর অলিতে গলিতে জেলাজুড়ে বিভিন্ন ফলের দোকানগুলোতে এখন মধুমাসের রসালো ফল লিচু, আম ও কাঁঠালে,কালোজাম,তালের শাষ ভরপুর। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো দেশি ফল পেঁপে, কলা, বেল ও তরমুজও হাতছানি দিচ্ছে শহরের মানুষকে।

বৈশাখ মাসজুড়ে তরমুজ আর বাঙ্গির বাজার ছিলো জমজমাট। যা এখনও চলমান। তার সাথে এখন যোগ হয়েছে লিচু,কাঁঠাল ও পাকা আম। সবুজে ঢাকা ভেতরে লাল মিষ্টি প্রতিটি তরমুজ এবছর কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবছর।যার দাম দাড়াচ্ছে আকার ভেদে সাড়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৪শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাঙ্গি আকার অনুসারে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা করে।

২ নং রেলগেটের ফলের দোকানগুলোতে প্রতিদিন গড়ে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকার। ব্যবসায়ীরা বলছে করোনা না থাকলে এর দ্বিগুণ বিক্রি করতে পারতো তারা।

এ দিকে তরমুজ আর বাঙ্গির সাথে বাজার ভরে উঠেছে রসালো ফল লিচু,পাকা আম আর কাঁঠালে। শহরের ফলের দোকান কিংবা ফুটপাতে প্রতি ১’শ লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি ২৫০টাকা থেকে ৩৫০ টাকা করে। প্রতি কেজি পাকা আম বিক্রি হচ্ছে ৯০টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে। কিন্তু করোনায় এবারের ফল বিক্রি নিয়ে শঙ্কিত ফল ব্যবসায়ীরা।তারা গতবারের চেয়ে এবার ফলের দাম কমিয়ে ও তেমন বিক্রি করতে পারছে না।

শহরের চারারগোপ এলাকার ফল ব্যবসায়ী মজিবুর মিয়া জানান, ফলতো আসতেছে কিন্তু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় আছি। করোনায় তো মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোই দায় সেখানে ফল তো শৌখিনতা ছাড়া আর কিছু না। তবুও অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছি। লাভের আশা ছেড়ে দিছি।

এ দিকে খুব কম পরিমাণেই বাজারে উঠেছে বাঙালির জাতীয় ফল কাঁঠাল। হাতে গোনা কয়েকটা দোকান ছাড়া তেমন চোখে পড়েনি। পরিমাণে কম হলেও দামটা বেশি। প্রতিটি কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। দ্বিগুবাবু বাজারের ফল বিক্রেতা বিল্লাল শেখ জানান, করোনায় দূর থেকে কাঁঠাল আনি নাই। গত বছর অনেক ফল নষ্ট হয়েছে।বিক্রি করতে পারিনি।পচেঁ নষ্ট হয়েছে,গুনতে হয়েছে লসের অংক।তাই নিজ গাছের কাঁঠাল নিয়েই আপাতত বাজার ধরতে বসেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কাঁঠালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন