নারায়ণগঞ্জ ০২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি-বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৭:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
  • / ৫২৩

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : হঠাৎ করেই নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজসহ নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোববার দুপুরে দিগুবাবুর বাজার সহ আশেপাশের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখাগেছে মাছ-মাংস শাকসবজি সহ সবকিছুর দাম বাড়তি।

মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এক কেজি ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা, কাচকি ৩৫০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, আড়ৎ থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হয়েছে। মাছের বাজারেও ক্রেতা বেশি। তাই মাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া আড়তে বেশি দাম হওয়ায় এর প্রভাব অনেকটাই খুচরা বাজারে পড়েছে।

এদিকে খাসি গরু মুরগির মাংস স্থিতিশীল থাকলেও মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, বয়লার ১৩৯ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, এছাড়াও সোনালি মুরগি আড়াইশো টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, একই সাথে পাল্লাদিয়ে দাম বেড়েছে শাকসবজি টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন,করোলা, পটল কাঁচা পেঁপে,শসা গাজর,মিষ্টি কুমড়া, কচুর লতি।

গত সপ্তাহে ৩০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি হলেও এ সপ্তাহের ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজের দাম মাঝে একটু কম হলে তা বেড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা, এছাড়াও পটল ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা। অথচ এসব সবজি এক সপ্তাহ আগেও ৫ থেকে ১০ টাকা কম দরে পাওয়া যেত।

মুদি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান জানান, নতুন করে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। নতুন করে যেসব বোতল প্যাকেট হয়ে আসছে সেগুলোর দাম ১৫২ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউলের দাম কমেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬২ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মোটা চাউলের দাম ৫০ টাকা দরে পাওয়া যায়।

কালিবাজারে আসা আবির মিয়া বলেন, আমরা যারা স্বল্পআয়ের মানুষ তাদের জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ৬০০ টাকা লাগে। ৫০০ টাকার নিচে কোন মাছ কেনা যায় না । শাকসবজি ও তেলের দাম বেশি । আমাদের কি উপায় হবে জানিনা।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

হঠাৎ নিত্যপন্যের দাম বৃদ্ধি-বিপাকে স্বল্প আয়ের মানুষ

০৭:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুন ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : হঠাৎ করেই নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজসহ নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। রোববার দুপুরে দিগুবাবুর বাজার সহ আশেপাশের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখাগেছে মাছ-মাংস শাকসবজি সহ সবকিছুর দাম বাড়তি।

মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৪৫৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও এক কেজি ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা, কাচকি ৩৫০ টাকা, মলা ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বিক্রেতা জামাল মিয়া বলেন, আড়ৎ থেকে বেশি দামে মাছ কিনতে হয়েছে। মাছের বাজারেও ক্রেতা বেশি। তাই মাছের দামও বেড়েছে। এছাড়া আড়তে বেশি দাম হওয়ায় এর প্রভাব অনেকটাই খুচরা বাজারে পড়েছে।

এদিকে খাসি গরু মুরগির মাংস স্থিতিশীল থাকলেও মুরগির ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। গরুর মাংসের দাম ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি, বয়লার ১৩৯ থেকে ১৪০ টাকা, লেয়ার ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, এছাড়াও সোনালি মুরগি আড়াইশো টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে, একই সাথে পাল্লাদিয়ে দাম বেড়েছে শাকসবজি টমেটো, গোল বেগুন, লম্বা বেগুন,করোলা, পটল কাঁচা পেঁপে,শসা গাজর,মিষ্টি কুমড়া, কচুর লতি।

গত সপ্তাহে ৩০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি হলেও এ সপ্তাহের ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজের দাম মাঝে একটু কম হলে তা বেড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা কেজি যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ টাকা, এছাড়াও পটল ৪০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা। অথচ এসব সবজি এক সপ্তাহ আগেও ৫ থেকে ১০ টাকা কম দরে পাওয়া যেত।

মুদি ব্যবসায়ী আতিকুর রহমান জানান, নতুন করে তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। নতুন করে যেসব বোতল প্যাকেট হয়ে আসছে সেগুলোর দাম ১৫২ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে। তবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে চাউলের দাম কমেছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে বাজারে বাসমতি চাউল কেজি ৬২ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মোটা চাউলের দাম ৫০ টাকা দরে পাওয়া যায়।

কালিবাজারে আসা আবির মিয়া বলেন, আমরা যারা স্বল্পআয়ের মানুষ তাদের জীবন ধারণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এক কেজি গরুর মাংস কিনতে ৬০০ টাকা লাগে। ৫০০ টাকার নিচে কোন মাছ কেনা যায় না । শাকসবজি ও তেলের দাম বেশি । আমাদের কি উপায় হবে জানিনা।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"