নারায়ণগঞ্জ ০৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নারী পুলিশের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল, হৃদয় খান গ্রেপ্তার

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৯:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
  • / ৬৪৬

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস এ্যাপে “বিডি পুলিশ” নামে একটি গ্রুপ খুলে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনায় হৃদয় খান নামে এক যুবককে আসামি করে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে এসএএফ শাখায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবকের ব্যাপারে বলা হয়, হৃদয় খানের বাড়ি ঢাকার মগবাজার এলাকায়। হৃদয় ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস এ্যাপে হৃদয়ের সাথে ভিডিও কলে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। হৃদয় খান তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে বিভিন্ন কথোপোকথন ও আপত্তিকর নানান অশ্লীল ভিডিও আদান-প্রদান করে, যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে।

মামলার এজহারে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও অভিযোগ করেন, হৃদয় তার অজান্তে তার সাথে কাটানো একান্ত অন্তরংগ সময়ের কিছু ঘনিষ্ট মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হলে হৃদয় তার ব্যক্তিগত জি-মেইল এর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটস এ্যাপ “বিডি পুলিশ” নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে ওইসব আপত্তিকর ভিডিও এবন ছবি আপলোড দিলে তা ভাইরাল হয়। এতে সামাজিকভাবে ও কর্মস্থলে মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ওই নারী পুলিশ সদস্য দাবি করেন।

মামলার এজাহারে এ বিষয়ে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও উল্লেখ করেন, গত ২ জুন বুধবার ছুটি পেয়ে কক্সবাজার থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসেন। ৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় হোয়াটস এ্যাপ চালু করে দেখেন “বিডি পুলিশ” নামে হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে হৃদয় তাদের গোপন অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। পরে তিনি পরিবারের সদস্য ও কর্মস্থলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় গিয়ে আইনের সহায়তা চান।

নারায়ণগঞ্জ জলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে মামলা দায়েরের পরই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত যুবককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রয়োগ করা হবে।

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

নারী পুলিশের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল, হৃদয় খান গ্রেপ্তার

০৯:৩৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস এ্যাপে “বিডি পুলিশ” নামে একটি গ্রুপ খুলে এক নারী পুলিশ কনস্টেবলের অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন ঘটনায় হৃদয় খান নামে এক যুবককে আসামি করে মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় বৃহস্পতিবার (৩ জুন) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী পুলিশ সদস্য। তিনি নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, ওই নারী পুলিশ সদস্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী এলাকার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে এসএএফ শাখায় কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন। অভিযুক্ত যুবকের ব্যাপারে বলা হয়, হৃদয় খানের বাড়ি ঢাকার মগবাজার এলাকায়। হৃদয় ওই নারীর আত্মীয় এবং তাদের মধ্যে দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক হয়। সেই সুবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস এ্যাপে হৃদয়ের সাথে ভিডিও কলে তার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। হৃদয় খান তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে বিভিন্ন কথোপোকথন ও আপত্তিকর নানান অশ্লীল ভিডিও আদান-প্রদান করে, যা হৃদয় তার মোবাইল ফোনে সংরক্ষণ করে রাখে।

মামলার এজহারে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও অভিযোগ করেন, হৃদয় তার অজান্তে তার সাথে কাটানো একান্ত অন্তরংগ সময়ের কিছু ঘনিষ্ট মুহুর্তের ভিডিও ধারণ করেছিল। পরে তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়ন শুরু হলে হৃদয় তার ব্যক্তিগত জি-মেইল এর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। সেখান থেকে মোবাইল ফোনের যাবতীয় নম্বর ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে হৃদয় কৌশলে বিভিন্ন পুলিশ সদস্যদের মোবাইল নম্বর দিয়ে হোয়াটস এ্যাপ “বিডি পুলিশ” নামে একটি গ্রুপ খুলে সেখানে ওইসব আপত্তিকর ভিডিও এবন ছবি আপলোড দিলে তা ভাইরাল হয়। এতে সামাজিকভাবে ও কর্মস্থলে মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ওই নারী পুলিশ সদস্য দাবি করেন।

মামলার এজাহারে এ বিষয়ে ওই নারী পুলিশ সদস্য আরও উল্লেখ করেন, গত ২ জুন বুধবার ছুটি পেয়ে কক্সবাজার থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে আসেন। ৩ জুন বৃহস্পতিবার সকাল নয়টায় হোয়াটস এ্যাপ চালু করে দেখেন “বিডি পুলিশ” নামে হোয়াটস এ্যাপ গ্রুপে হৃদয় তাদের গোপন অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে। পরে তিনি পরিবারের সদস্য ও কর্মস্থলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে থানায় গিয়ে আইনের সহায়তা চান।

নারায়ণগঞ্জ জলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। রাতে মামলা দায়েরের পরই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত যুবককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করব। এছাড়া পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম প্রয়োগ করা হবে।