নারায়ণগঞ্জ ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতারণায়, সহযোগীসহ গ্রেফতার

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৬:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / ১০১৫
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

প্রেস-বিজ্ঞপ্তিঃ সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বহুমুখী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। একই সাথে মোঃ আনিসুর রহমান (৪৫) নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দু’টি মোবাইল, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম ও তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি নামের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১ জুন) র‌্যাব-১১ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুর ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মাদানীনগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র চেয়ারম্যান, তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে থাকে।

সে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরল বিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিতো। পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি প্রদান করতো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, এই প্রদীপ চন্দ্র নিজে এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিল। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারক প্রদীপের প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান নিজে মূলত একজন রিকশা চালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছিলো। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতারণায়, সহযোগীসহ গ্রেফতার

০৬:৩০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

প্রেস-বিজ্ঞপ্তিঃ সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে বহুমুখী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। একই সাথে মোঃ আনিসুর রহমান (৪৫) নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, দু’টি মোবাইল, ব্যানার, জীবনবৃত্তান্ত ফরম ও তালাশ নিউজ-৭৯ টিভি নামের আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১ জুন) র‌্যাব-১১ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুর ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন মাদানীনগর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, বহুমুখী প্রতারক চক্রের মূলহোতা প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ ওয়াকিটকি সেট, মনোগ্রাম সম্বলিত জ্যাকেট ও হ্যান্ডকাফ দেখিয়ে নিজেকে একাধারে ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র চেয়ারম্যান, তালাশ নিউজ টিভি-৭৯ ও দৈনিক সত্যের সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে পরিচয় প্রদান করে থাকে।

সে ভুয়া আইডি কার্ড তৈরি করে ট্রাফিক পুলিশ ও যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে চাকুরীর আশ্বাস দিয়ে এবং তার কথিত টিভি চ্যানেল ও ‘সমাজের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার’ অন্যান্য সদস্যপদে ও নিউজ চ্যানেলের জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরল বিশ্বাসী মানুষের কাছ থেকে চাকুরী প্রদানের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনা মাফিক বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিতো। পরবর্তীতে তার কাছে কেউ টাকা ফেরত চাইলে তার কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে সে তাদের অত্যাচারের হুমকি প্রদান করতো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, এই প্রদীপ চন্দ্র নিজে এক সময় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছিল। ২০১৫ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার ও বিতরণ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রতারক প্রদীপের প্রধান সহযোগী আনিসুর রহমান নিজে মূলত একজন রিকশা চালক বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে নতুন সদস্য সংগ্রহের কাজে তাকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছিলো। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।