নারায়ণগঞ্জ ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশুকে হত্যা : আটক-১

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৭:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • / ৬৬৯

#চাচাতো ভায়রার (চাচাতো বোনের জামাই) ৭ বছরের শিশু সন্তানকে খুন#

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে চাচাতো ভায়রার (চাচাতো বোনের জামাই) ৭ বছরের শিশু সন্তানকে খুন করেছে সুজন (২৮)নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। আসামীর দেওয়া তথ্যমতে বুধবার ভোরে জালকুড়ি তালতলা এলাকার মাদবর বাজার সংলগ্ন বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু রিয়াদ। ২৮ এপ্রিল একটি মোবাইল নাম্বার থেকে রিয়াদের বাবার কাছে ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ঐদিন রিয়াদের বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এবং রিয়াদের বাবার সন্দেহের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল এবং উপ-পরিদর্শক শওকত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত সুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুজন শিশু রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশের সন্ধান দেয়। শিশু রিয়াদকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ জানায়, ২৪ এপ্রিল শিশু রিয়াদকে অপহরণ করে ঐ রাতেই তাকে হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে জালকুড়ি এলাকার বিলে একটি ডোবায় পানিতে ভাসমান জঙ্গলের নিচে লুকিয়ে রাখে সুজন।

আটককৃত আসামী জালকুড়ির একটি রোলিং মিলে কাজ করতো এবং চর সুমিলপাড়া এলাকায় বাস করতো। অপরদিকে শিশু রিয়াদের পরিবার মুনলাইট এলাকায় করিম মিস্ত্রির বাড়ির ভাড়াটিয়া।

শিশু রিয়াদের বাবা দিনমজুর রাজু জানান, তার পরিবার এবং অভিযুক্ত আসামী উভয়ের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। কর্মসূত্রে তারা সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে আলাদা আলাদা ঠিকানায় বসবাস করে।

রাজু বলেন, নিখোঁজের দিন বিকেলে আমার ভায়রা সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে আমার দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং আমার বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।

আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে শুরু করি। আমাদের সাথে সুজনও খোঁজ করে। সুজন মাইক ভাড়া করে মাইকিংও করে। পরে অন্য একটি অপরিচিত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন আমার কাছে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। কন্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সাথে সাথে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি বলেন, উক্ত ঘটনায় মুক্তিপন দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িত সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে মো. ইদ্রিস নামে সুজনের এক প্রতিবেশী জানান, প্রায়ই সুজন ছোটখাটো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। চুরি, ছিনতাই ছিল উল্লেখযোগ্য। এর আগে সুজন ওয়াকিটকি ব্যবহার করে পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ি আটকিয়ে টাকা উঠাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় একাধিকবার এলাকায় তার বিরুদ্ধে বিচার-শালিশ বসানো হয়েছিল।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শিশুকে হত্যা : আটক-১

০৭:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে চাচাতো ভায়রার (চাচাতো বোনের জামাই) ৭ বছরের শিশু সন্তানকে খুন করেছে সুজন (২৮)নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। আসামীর দেওয়া তথ্যমতে বুধবার ভোরে জালকুড়ি তালতলা এলাকার মাদবর বাজার সংলগ্ন বিলের ডোবা থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু রিয়াদ। ২৮ এপ্রিল একটি মোবাইল নাম্বার থেকে রিয়াদের বাবার কাছে ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনায় ঐদিন রিয়াদের বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এবং রিয়াদের বাবার সন্দেহের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল এবং উপ-পরিদর্শক শওকত তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত সুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সুজন শিশু রিয়াদকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশের সন্ধান দেয়। শিশু রিয়াদকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। পুলিশ জানায়, ২৪ এপ্রিল শিশু রিয়াদকে অপহরণ করে ঐ রাতেই তাকে হত্যার পর লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে জালকুড়ি এলাকার বিলে একটি ডোবায় পানিতে ভাসমান জঙ্গলের নিচে লুকিয়ে রাখে সুজন।

আটককৃত আসামী জালকুড়ির একটি রোলিং মিলে কাজ করতো এবং চর সুমিলপাড়া এলাকায় বাস করতো। অপরদিকে শিশু রিয়াদের পরিবার মুনলাইট এলাকায় করিম মিস্ত্রির বাড়ির ভাড়াটিয়া।

শিশু রিয়াদের বাবা দিনমজুর রাজু জানান, তার পরিবার এবং অভিযুক্ত আসামী উভয়ের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। কর্মসূত্রে তারা সিদ্ধিরগঞ্জে ভাড়াটিয়া হিসেবে আলাদা আলাদা ঠিকানায় বসবাস করে।

রাজু বলেন, নিখোঁজের দিন বিকেলে আমার ভায়রা সুজন আমার দুই ছেলেকে দোকান থেকে কেক কিনে দেওয়ার জন্য নিয়ে যায়। পরে আমার দুই ছেলে কেক নিয়ে বাসায় আসে এবং আমার বড় ছেলে রিয়াদ আবার বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়।

আমরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি করতে শুরু করি। আমাদের সাথে সুজনও খোঁজ করে। সুজন মাইক ভাড়া করে মাইকিংও করে। পরে অন্য একটি অপরিচিত ব্যক্তির ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন আমার কাছে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। কন্ঠ শুনেই সুজনকে আমার সন্দেহ হয়। আমি সাথে সাথে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মেহেদী ইমরান সিদ্দীকি বলেন, উক্ত ঘটনায় মুক্তিপন দাবি করা মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ঘটনার সাথে জড়িত সুজন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে মো. ইদ্রিস নামে সুজনের এক প্রতিবেশী জানান, প্রায়ই সুজন ছোটখাটো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। চুরি, ছিনতাই ছিল উল্লেখযোগ্য। এর আগে সুজন ওয়াকিটকি ব্যবহার করে পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে গাড়ি আটকিয়ে টাকা উঠাতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। চুরির ঘটনায় একাধিকবার এলাকায় তার বিরুদ্ধে বিচার-শালিশ বসানো হয়েছিল।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"