নারায়ণগঞ্জ ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে পুঁইশাকের বাম্পার ফলনে স্বপ্ন দেখছে কৃষক

 অনলাইন ভার্সন
  • ১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫৪৩

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : পুষ্টিকর ও সুস্বাদু শাক সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ক্ষেতেই শোভা পাচ্ছে লালচে ও সবুজ পুঁইশাক।

পুঁইশাক চাষাবাদে খরচ খুব কম হওয়ায় কৃষকেরা পুঁইশাক চাষাবাদ করে থাকেন। কিন্তু পুঁইশাক বিক্রি করে তুলনা মূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। অল্প পুঁজি ও স্বল্প পরিশ্রমে বেশি মুনাফা লাভের আশায় কৃষকেরা পুঁইশাক চাষ আবাদ করছেন।

বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মন্নারবাগ গ্রামের সবুজ মিয়া তিন বিঘা জমিতে পুঁইশাকের আবাদ করেছেন। এই তিন বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষ আবাদের তার সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিগত একমাস যাবত সে পুঁইশাকের ক্ষেত থেকে পুঁইশাক বিক্রি করেছেন ৩৫ হাজার টাকা। আরো দেড় থেকে দুই মাস সে তার ক্ষেতের পুঁইশাক বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে সে আশা করছেন পুঁইশাক বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

সনমান্দি ইউনিয়নের আলমদি গ্রামের পুঁইশাক চাষী সাইজুদ্দিন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও তিনি তার দুই বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষাবাদ করেছেন। তার জমি অনেক উর্বর তাই তিনি অল্প সময়ে তার পুঁইশাক বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। তিনি এযাবত প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো পুঁইশাক বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আমদানী করতে পারবেন পুঁইশাক বিক্রি করে। এতে তিনি মোটামুটি ভালো লাভের আশা করছেন। এলাকায় তার পুঁইশাকের ব্যাপক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই তিনি বাড়িতে থেকেও তার পুঁইশাক বিক্রি করতে পারছেন এতে তার বাজারে যাতায়াত খরচ ও সময় বেঁচে যাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, এবছর করোনার জন্য ৫ হাজারের ও বেশি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পুঁইশাকের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তাই আশা করি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক পরিমাণ পুঁইশাক উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ উপজেলার মাটি পুঁইশাক চাষাবাদের জন্য অনেক উপযোগী। এবং পুঁইশাক চাষাবাদের খরচ কম হওয়ায় ধরুন কৃষকেরা এই এলাকায় পুঁইশাক চাষাবাদ করে থাকেন।

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে পুঁইশাকের বাম্পার ফলনে স্বপ্ন দেখছে কৃষক

১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : পুষ্টিকর ও সুস্বাদু শাক সবজির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রায় ক্ষেতেই শোভা পাচ্ছে লালচে ও সবুজ পুঁইশাক।

পুঁইশাক চাষাবাদে খরচ খুব কম হওয়ায় কৃষকেরা পুঁইশাক চাষাবাদ করে থাকেন। কিন্তু পুঁইশাক বিক্রি করে তুলনা মূলক ভাবে অনেক লাভবান হওয়া যায়। অল্প পুঁজি ও স্বল্প পরিশ্রমে বেশি মুনাফা লাভের আশায় কৃষকেরা পুঁইশাক চাষ আবাদ করছেন।

বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মন্নারবাগ গ্রামের সবুজ মিয়া তিন বিঘা জমিতে পুঁইশাকের আবাদ করেছেন। এই তিন বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষ আবাদের তার সর্বমোট ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিগত একমাস যাবত সে পুঁইশাকের ক্ষেত থেকে পুঁইশাক বিক্রি করেছেন ৩৫ হাজার টাকা। আরো দেড় থেকে দুই মাস সে তার ক্ষেতের পুঁইশাক বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে সে আশা করছেন পুঁইশাক বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন।

সনমান্দি ইউনিয়নের আলমদি গ্রামের পুঁইশাক চাষী সাইজুদ্দিন জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও তিনি তার দুই বিঘা জমিতে পুঁইশাক চাষাবাদ করেছেন। তার জমি অনেক উর্বর তাই তিনি অল্প সময়ে তার পুঁইশাক বাজারে বিক্রি করতে পারছেন। তিনি এযাবত প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো পুঁইশাক বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা আমদানী করতে পারবেন পুঁইশাক বিক্রি করে। এতে তিনি মোটামুটি ভালো লাভের আশা করছেন। এলাকায় তার পুঁইশাকের ব্যাপক চাহিদা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই তিনি বাড়িতে থেকেও তার পুঁইশাক বিক্রি করতে পারছেন এতে তার বাজারে যাতায়াত খরচ ও সময় বেঁচে যাচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, এবছর করোনার জন্য ৫ হাজারের ও বেশি কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পুঁইশাকের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তাই আশা করি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক পরিমাণ পুঁইশাক উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ উপজেলার মাটি পুঁইশাক চাষাবাদের জন্য অনেক উপযোগী। এবং পুঁইশাক চাষাবাদের খরচ কম হওয়ায় ধরুন কৃষকেরা এই এলাকায় পুঁইশাক চাষাবাদ করে থাকেন।