নারায়ণগঞ্জ ০৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বন্দরে যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

 অনলাইন ভার্সন
  • ১১:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৬২৫

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : বন্দরের মদনপুরে ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিনের চলমান বিরোধে জুয়েল(২৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সাহেরা গার্ডেনের পাশে প্রতিপক্ষরা ঐ যুবককে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। এর আগে ঘটনার রাতেই আহত অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে স্বজনরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত যুবক স্থানীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে। গত দুই মাস আগে প্রবাস থেকে ছুটিতে দেশে এসেছিল বলে জানায় নিহতের পরিবার। অন্যদিকে অভিযুক্তরা কাঁচপুরের লিটন খান নামে এক ব্যক্তির সাথে ড্রেজারের ব্যবসা করছে বলে জানান নিহতের পরিবার।

নিহতের বড় ভাই সোহেল বলেন, অভিযুক্তরা শফিকুল ইসলাম খাঁন (লিটন)’র সাথে ড্রেজারের ব্যবসা করে আসছে। সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে হত্যা করে কাঁচপুর এলাকার ড্রেজার সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম খাঁন (লিটন)’র কাছে গিয়ে আস্ত্রয় নেয়। লিটন যদি এ এলাকায় ড্রেজার না দিত তা হলে আমার ভাই মারা যেত না। আমার ভাইয়ের খুনিদের সাথে লিটনের সক্ষতা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিগত দুই মাস যাবৎ শাহজালাল, আলীম ও ইলিয়াছের সাথে ড্রেজারের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। বিভিন্ন সময় নানা হুমকিও প্রদান করেছে তারা। তাছাড়া চলমান এই বিরোধ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে মিমাংশাও করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা তার ছোট ভাই ও তার উপর ঘটনার রাতে হামলা করে। আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আমি বেঁচে গেলেও আমার ছোট ভাই সোহেলকে তারা পেটে গুলি করে এবং বা হাত কুপিয়ে কেটে ফেলে। এতে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আমরা প্রশাসনের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এদিকে বৃহস্পতিবার বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুপুরে অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভায়।

সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজিজুল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ হত্যাকান্ডের বিষয়ে খোজখবর নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ২জনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রকৃত খুনিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বন্দরে যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা

১১:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : বন্দরের মদনপুরে ড্রেজার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দির্ঘদিনের চলমান বিরোধে জুয়েল(২৬) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় সাহেরা গার্ডেনের পাশে প্রতিপক্ষরা ঐ যুবককে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ অবস্থান নেয়। এর আগে ঘটনার রাতেই আহত অবস্থায় জুয়েলকে উদ্ধার করে স্বজনরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

নিহত যুবক স্থানীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনের ছোট ছেলে। গত দুই মাস আগে প্রবাস থেকে ছুটিতে দেশে এসেছিল বলে জানায় নিহতের পরিবার। অন্যদিকে অভিযুক্তরা কাঁচপুরের লিটন খান নামে এক ব্যক্তির সাথে ড্রেজারের ব্যবসা করছে বলে জানান নিহতের পরিবার।

নিহতের বড় ভাই সোহেল বলেন, অভিযুক্তরা শফিকুল ইসলাম খাঁন (লিটন)’র সাথে ড্রেজারের ব্যবসা করে আসছে। সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে হত্যা করে কাঁচপুর এলাকার ড্রেজার সন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম খাঁন (লিটন)’র কাছে গিয়ে আস্ত্রয় নেয়। লিটন যদি এ এলাকায় ড্রেজার না দিত তা হলে আমার ভাই মারা যেত না। আমার ভাইয়ের খুনিদের সাথে লিটনের সক্ষতা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিগত দুই মাস যাবৎ শাহজালাল, আলীম ও ইলিয়াছের সাথে ড্রেজারের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। বিভিন্ন সময় নানা হুমকিও প্রদান করেছে তারা। তাছাড়া চলমান এই বিরোধ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে মিমাংশাও করা হয়েছিল। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা তার ছোট ভাই ও তার উপর ঘটনার রাতে হামলা করে। আশেপাশের লোকজনের সহযোগিতায় আমি বেঁচে গেলেও আমার ছোট ভাই সোহেলকে তারা পেটে গুলি করে এবং বা হাত কুপিয়ে কেটে ফেলে। এতে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। আমরা প্রশাসনের উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষের এর উপযুক্ত বিচার চাই।

এদিকে বৃহস্পতিবার বুধবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুপুরে অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দিয়ে জ¦ালিয়ে দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নেভায়।

সংবাদ পেয়ে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা ও ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আজিজুল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ হত্যাকান্ডের বিষয়ে খোজখবর নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে ২জনকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রকৃত খুনিদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"