নারায়ণগঞ্জ ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৮:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
  • / ৫২৩

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : কম খরচে ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে গাজরের চাষ। উচ্চমূল্যের এ সবজির বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় শেরপুর জেলায় নকলা সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য উপজেলায় গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। উৎপাদিত গাজর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

শুধুমাত্র ধান কিংবা পাট আবাদ ছাড়াও কৃষিকে অধিক লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে গাজরসহ বহুমুখী ফসল আবাদে চাষীদের সকল ধরনের সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিভাগ। এছাড়া কৃষি বিভাগের সহযোগিতা, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেলে এ আবাদ জেলায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে আশাবাদী এলাকার প্রান্তিক চাষীরা।

কৃষকরা জানান, কিছুদিন আগেও এলাকায় গাজর চাষ সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিলো না স্থানীয় চাষীদের। তবে অল্প শ্রমে উৎপাদন বেশি ও ভালো দাম পাওয়ায় এখন ধীরে ধীরে গাজর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। নকলা উপজেলায় এবার প্রথমবারের মতো ৩৫ শতাংশ জমিতে গাজর চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল মোতালেব। গাজর চাষে মোতালেবের সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষক এ সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামীতে গাজর চাষের পরিমাণ ও চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

গাজর চাষী আব্দুল মোতালেব বলেন, এবার প্রথম ৩৫ শতাংশ জমিতে গাজর চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এতে আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা।

শেরপুর নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস জানান, স্বল্প আয়ুর এ সবজি চাষে কৃষকরা যতটা লাভবান হন, ধান বা অন্য কোনও ফসল আবাদে সেটি সম্ভব নয় বলে দিনদিন গাজর চাষের পরিমাণ ও চাষীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এই জমি থেকে ৬০ থেকে ৭০ মণ গাজর তুলতে পারবেন আব্দুল মোতালেব। প্রতি মণ গাজর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাজার ভালো থাকায় তার মুখে ফুটেছে হাসি। সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ জেলায় এবার ১৬৫ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। সূত্র আরটিভি নিউজ অনলাইন।

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষীরা

০৮:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : কম খরচে ও স্বল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে গাজরের চাষ। উচ্চমূল্যের এ সবজির বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় শেরপুর জেলায় নকলা সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ অন্যান্য উপজেলায় গাজর চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। উৎপাদিত গাজর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

শুধুমাত্র ধান কিংবা পাট আবাদ ছাড়াও কৃষিকে অধিক লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে গাজরসহ বহুমুখী ফসল আবাদে চাষীদের সকল ধরনের সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিভাগ। এছাড়া কৃষি বিভাগের সহযোগিতা, উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেলে এ আবাদ জেলায় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে আশাবাদী এলাকার প্রান্তিক চাষীরা।

কৃষকরা জানান, কিছুদিন আগেও এলাকায় গাজর চাষ সম্পর্কে তেমন একটা ধারণা ছিলো না স্থানীয় চাষীদের। তবে অল্প শ্রমে উৎপাদন বেশি ও ভালো দাম পাওয়ায় এখন ধীরে ধীরে গাজর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তারা। নকলা উপজেলায় এবার প্রথমবারের মতো ৩৫ শতাংশ জমিতে গাজর চাষ করেছেন কৃষক আব্দুল মোতালেব। গাজর চাষে মোতালেবের সফলতা দেখে এলাকার অনেক কৃষক এ সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উৎপাদন ভালো হওয়ায় আগামীতে গাজর চাষের পরিমাণ ও চাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

গাজর চাষী আব্দুল মোতালেব বলেন, এবার প্রথম ৩৫ শতাংশ জমিতে গাজর চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এতে আমার ব্যয় হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা।

শেরপুর নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস জানান, স্বল্প আয়ুর এ সবজি চাষে কৃষকরা যতটা লাভবান হন, ধান বা অন্য কোনও ফসল আবাদে সেটি সম্ভব নয় বলে দিনদিন গাজর চাষের পরিমাণ ও চাষীর সংখ্যা বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এই জমি থেকে ৬০ থেকে ৭০ মণ গাজর তুলতে পারবেন আব্দুল মোতালেব। প্রতি মণ গাজর বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। বাজার ভালো থাকায় তার মুখে ফুটেছে হাসি। সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ জেলায় এবার ১৬৫ হেক্টর জমিতে গাজরের আবাদ হয়েছে। সূত্র আরটিভি নিউজ অনলাইন।