নারায়ণগঞ্জ ০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি শামীম ওসমানের শেষ ইচ্ছা

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৯:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • / ৫৬০

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে “এ কে এম শামীম ওসমান” নামে ওয়েবসাইট পেইজ ও “একজন শামীম ওসমান” নামে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়। ডকুমেন্টারিতে আলোচিত ওই রাজনীতিবিদের শৈশব থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসহ অবদানের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার বড় ভাই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও পরিবারের সদস্যরাসহ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান পরিবারসহ উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিজের জন্য দোয়া চান। এবং সবার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যেও দোয়া চেয়ে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানান।

তিনি জানান, তার প্রস্তাবনায় নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের প্রক্রিয়া চলছে। যেটি ছিল তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি আশা করছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর রাজধানির চেয়েও আধুনিক নগরীতে পরিণত হতে যাচ্ছে।

এ শামীম ওসমান তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শমতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে চলতে চান বলে শেষ ইচ্ছার কথা জানান।

পরে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উৎসবমুখর পবিবেশে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে কেক কেটে নিজের ষাটতম জন্মদিন পালন করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ সময় প্রচুর আতশবাজি ফোঁটানো হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শামীম ওসমান ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক গণপরিষদের সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

বাবা ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত। মা নাগিনা জোহাও ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। শামীম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মেঝ ভাই সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি ও বিকেএমইএ’র সভাপতি।

নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি থেকে এসএসসি, তোলারাম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্মাতক এবং নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রি র্অজন করেন শামীম ওসমান।

প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শামীম ওসমান যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সে সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে পোস্টার লাগাতে গিয়ে পুলিশের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ৮০’র দশকের প্রথমভাগে সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ৮১ সালে তিনি তোলারাম কলেজে ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন এই ছাত্র নেতা। পরবর্তীতে শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ সালের ৯ জুন লং মার্চে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে বাঁধা, সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণ, স্বাধীনতা বিরোধীদের নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, নারায়ণগঞ্জের টানবাজার পতিতাপল্লী উচ্ছেদ করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের ডিজিটাল টেলিফোন, লিংক রোড নির্মাণ, খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সমস্যার সমাধান, বক্তাবলীতে বিদ্যুৎ সংযোগ, তোলারাম কলেজে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, নতুন আদালত ভবন, জেলা কারাগার নির্মাণ, চলমান ডিএনডি প্রকল্প শামীম ওসমানের বড় কাজগুলোর অন্যতম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে শামীম ওসমান এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান।

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

এমপি শামীম ওসমানের শেষ ইচ্ছা

০৯:৪২:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ৬০ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্কে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে “এ কে এম শামীম ওসমান” নামে ওয়েবসাইট পেইজ ও “একজন শামীম ওসমান” নামে ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়। ডকুমেন্টারিতে আলোচিত ওই রাজনীতিবিদের শৈশব থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাসহ অবদানের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার বড় ভাই সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ও পরিবারের সদস্যরাসহ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।

ওই অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান পরিবারসহ উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং নিজের জন্য দোয়া চান। এবং সবার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যেও দোয়া চেয়ে নিজের শেষ ইচ্ছার কথা জানান।

তিনি জানান, তার প্রস্তাবনায় নারায়ণগঞ্জে মেডিকেল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সরকারের প্রক্রিয়া চলছে। যেটি ছিল তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। যা বাস্তবায়ন হতে চলেছে। তিনি আশা করছেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর রাজধানির চেয়েও আধুনিক নগরীতে পরিণত হতে যাচ্ছে।

এ শামীম ওসমান তিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শমতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে চলতে চান বলে শেষ ইচ্ছার কথা জানান।

পরে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে উৎসবমুখর পবিবেশে পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে কেক কেটে নিজের ষাটতম জন্মদিন পালন করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ সময় প্রচুর আতশবাজি ফোঁটানো হয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শামীম ওসমান ১৯৬১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর, সাবেক গণপরিষদের সদস্য একেএম শামসুজ্জোহার তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

বাবা ছিলেন একাধারে ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত। মা নাগিনা জোহাও ছিলেন একজন ভাষা সৈনিক। শামীম ওসমানের বড় ভাই নাসিম ওসমান ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি। ২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মেঝ ভাই সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি ও বিকেএমইএ’র সভাপতি।

নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি থেকে এসএসসি, তোলারাম কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্মাতক এবং নারায়ণগঞ্জ আইন কলেজ থেকে এল এল বি ডিগ্রি র্অজন করেন শামীম ওসমান।

প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শামীম ওসমান যখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সে সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদে পোস্টার লাগাতে গিয়ে পুলিশের বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়েছিলেন। ৮০’র দশকের প্রথমভাগে সরকারি তোলারাম কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। ৮১ সালে তিনি তোলারাম কলেজে ছাত্র-ছাত্রী সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করেন এই ছাত্র নেতা। পরবর্তীতে শহর আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮ সালের ৯ জুন লং মার্চে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে বাঁধা, সংসদে জ্বালাময়ী ভাষণ, স্বাধীনতা বিরোধীদের নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, নারায়ণগঞ্জের টানবাজার পতিতাপল্লী উচ্ছেদ করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের ডিজিটাল টেলিফোন, লিংক রোড নির্মাণ, খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস সমস্যার সমাধান, বক্তাবলীতে বিদ্যুৎ সংযোগ, তোলারাম কলেজে অনার্স মাস্টার্স কোর্স চালু, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, নতুন আদালত ভবন, জেলা কারাগার নির্মাণ, চলমান ডিএনডি প্রকল্প শামীম ওসমানের বড় কাজগুলোর অন্যতম।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে শামীম ওসমান এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমান লিপি জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান।