আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : ফতুল্লার নিউ হাজিগঞ্জ এলাকায় ঈদগাহের নির্ধাারিত স্থানে বসত বাড়ি নির্মানকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রচন্ত উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টির হয়েছে। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও কাজ বন্ধ করতে গণস্বাক্ষরও দেয় এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ নবু মিস্ত্রি জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. আব্দুল সবুর মোল্লা ঈদাগাহের নির্ধারিত জায়গায় বসত বাড়ি নির্মাণ করছিলো। যা এলাকাবাসির কেউ অবগত নয়।
এক পর্যায়ে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ঈদগাহের আশেপাশের লোকজন নিয়ে এলাকাবাসি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে বাক বিতন্ডা ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করে।
এদিকে নবু মিস্ত্রি জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. আব্দুল সবুর মোল্লা এলাকাবাসিকে বলেন, এই স্থাপনা থেকে আসা আয় মসজিদের উন্নয়ণে ব্যবহার করা হবে।
অপরদিকে এলাকাবাসি বলেন, মসজিদ ও ঈদগাহের উন্নয়ণে সমস্ত ব্যয় এলাকাবাসি দিয়ে থাকে। এর আগেও উন্নয়ণের জন্য কয়েক দফা টাকা তোলা হলেও ঈদগাহের উন্নয়ণ দেখা যায়নি।
বর্তমানে উন্নয়ণের নামে স্থাপনা নির্মান করে তা দখলের পায়তারা চলছে। ঈদগাহের জায়গায় কোনো স্থাপনা চাইনা। প্রয়োজনে ঈদগাহ উন্নয়ণ কমিটি করা হউক। এর উন্নয়ণে সমস্ত ব্যয় এলাকাবাসী ওই কমিটির মাধ্যমে বহন করবে।
এ বিষয়ে নবু মিস্ত্রি জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. আব্দুল সবুর মোল্লা বলেন, আমারা নানা মসজিদের জন্য ১২ শতাংশ ও মসজিদের উন্নয়নের জন্য ৬৬ শতাংশ জায়গা দিয়ে যান। বর্তমানে ওই ৬৬ শতাংশ জায়গায় এলাকাবাসী ঈদগাহ হিসেবে ব্যবহার করছে। মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই ৬৬ শতাংশ জায়গার অর্ধেকে স্থাপনা (বসত বাড়ি) নির্মান করা হচ্ছে। পরে এলকাবাসি বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। আগামী শুক্রবার মসজিদে এ বিষয়ে এলাকাবাসিদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মসজিদের মোতায়াল্লি এহসান কাদির রুমি বলেন, এ বিষয়ে মসজিদের সেক্রেটারি মো. আব্দুল সবুর মোল্লাসহ কমিটির কেউ আমাকে আমাকে কিছু জানায়নি। এলাকাবাসী কাজ বন্ধ করে দিয়ে এসে বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি সবাইকে আশ^স্ত করি ঈদগাহের জায়গায় অন্য কিছু হবে না।