নারায়ণগঞ্জ ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের তান্ডব, হামলা, সমিতির অফিস ভাংচুর, টাকা লুটের অভিযোগ

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৭২৫

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডে পাইনাদী সিআই খোলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছে। এসময় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৪-৩৪৫০) ও একটি সমিতির অফিস ভাংচুর করে প্রায় পৌনে ৯ লাখ টাকা লুট করেছে বলে থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।

মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাকিবকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে সিআই খোলা এলাকায় রনি সিটি সামনে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দু’টি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিআই খোলা এলাকার রবিন (২৩), রানা (৩০), রতন (২৮), রাজু (২৫), শান্ত (২৪), জাহিদ (২২), আমান (২০) ও আলী (৪০) সহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

তাদের মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদী হয়ে দাড়ায় হাসান আলী, জামাল, আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, আব্দুস সালাম অপু, মাসুদ, হৃদয় ও সুলতান বাদশা (দিপু) সহ আরো অনেকে। এ নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

এতে আহত হয় রাকিব, হাসান আলী, জামাল, আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, আব্দুস সালাম অপু, মাসুদ, হৃদয়সহ অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে রাকিবকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা রনি সিটির সামনে পরিবর্তন সমবায় সমিতির অফিস ও একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে সমিতির অফিস থেকে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দু’টি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং একজন আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে।

অপর অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র মজুমদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের উতপাৎ বেড়ে গেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা করছে, বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে উল্টো তাদের হাতে হতে হয় হেনস্থা ও লাঞ্ছিত।

মাদকের প্রভাবে ইভটিজিং, ছিনতাই, চুরি ও মারামারির ঘটনা নিত্য হয়ে দাড়িয়েছে। মাদকের জের ধরেই তৈরী পূর্ব শত্রুতা থেকে মঙ্গলবার মধ্য রাত পর্যন্ত হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত এইসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরণের নাশকতা ঘটতে পারে। পাশাপাশি এদের শেল্টারদাতাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুটের বিষয়ে তিনি জানান, একজন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। অর্থের উৎস ও পরিমানের সঙ্গতি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের তান্ডব, হামলা, সমিতির অফিস ভাংচুর, টাকা লুটের অভিযোগ

১০:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সিদ্ধিরগঞ্জের ১নং ওয়ার্ডে পাইনাদী সিআই খোলা এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে মাদক ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছে। এসময় একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্টো-গ-৩৪-৩৪৫০) ও একটি সমিতির অফিস ভাংচুর করে প্রায় পৌনে ৯ লাখ টাকা লুট করেছে বলে থানায় পৃথক দু’টি অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।

মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত রাকিবকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে সিআই খোলা এলাকায় রনি সিটি সামনে। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দু’টি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সিআই খোলা এলাকার রবিন (২৩), রানা (৩০), রতন (২৮), রাজু (২৫), শান্ত (২৪), জাহিদ (২২), আমান (২০) ও আলী (৪০) সহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করে আসছে।

তাদের মাদক ব্যবসায় প্রতিবাদী হয়ে দাড়ায় হাসান আলী, জামাল, আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, আব্দুস সালাম অপু, মাসুদ, হৃদয় ও সুলতান বাদশা (দিপু) সহ আরো অনেকে। এ নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে উক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মাদক ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

এতে আহত হয় রাকিব, হাসান আলী, জামাল, আলাউদ্দিন পাটোয়ারী, আব্দুস সালাম অপু, মাসুদ, হৃদয়সহ অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে রাকিবকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা রনি সিটির সামনে পরিবর্তন সমবায় সমিতির অফিস ও একটি প্রাইভেট কার ভাংচুর করে সমিতির অফিস থেকে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের দু’টি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং একজন আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্তনাধীন রয়েছে।

অপর অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজল চন্দ্র মজুমদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে এলাকাবাসী জানান, এই এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের উতপাৎ বেড়ে গেছে। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মাদক বেচা-কেনা করছে, বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে উল্টো তাদের হাতে হতে হয় হেনস্থা ও লাঞ্ছিত।

মাদকের প্রভাবে ইভটিজিং, ছিনতাই, চুরি ও মারামারির ঘটনা নিত্য হয়ে দাড়িয়েছে। মাদকের জের ধরেই তৈরী পূর্ব শত্রুতা থেকে মঙ্গলবার মধ্য রাত পর্যন্ত হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাটি ঘটে। দ্রুত এইসব মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরণের নাশকতা ঘটতে পারে। পাশাপাশি এদের শেল্টারদাতাদেরকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মশিউর রহমান জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা লুটের বিষয়ে তিনি জানান, একজন কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন। অর্থের উৎস ও পরিমানের সঙ্গতি পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।