নারায়ণগঞ্জ ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি রোগী- থাকেন বাসায়

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
  • / ৪৮১

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন মনির। ৩-৪ দিন অন্তর অন্তর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ও ড্রেসিং করতে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিজের নামে একটি বেড নিশ্চিত করলেও তিনি বাসায় থাকেন। কারণ, স্বাস্থ্যবিধি ও করোনাকালীন নিরাপত্তা।

এদিকে বাড়িতে থাকা সম্ভব হলে বাড়িতে থেকেই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া শ্রেয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন সিনিয়র কনসালটেন্টরা। হাসপাতালে থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন অসুস্থ রোগীরা। করোনাকালের এই চিত্র চোখে পড়েছে সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করে।

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সূত্রে, এখানকার সার্জারি ওয়ার্ডে (পুরুষ ও মহিলা) মোট ২৮ বেড রয়েছে। এর মাঝে কাগজ ও কলমে ২৭ বেডে রোগী ভর্তি। তবে, ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় একেবারেই ভিন্ন চিত্র। সার্জারি ওয়ার্ডের অর্ধেকেরও বেশি রোগী নেই। ফাঁকা বিছানা।

এ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নার্স বলেন, করোনা সংক্রমণের পূর্বে হাসপাতালে এমন পরিস্থিতি ছিল না। লকডাউনের সময় হাসপাতালে সাজারি ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল না বললেই চলে কিন্তু লকডাউনের পরে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় কম। আর যারা সার্জারি করে তারা ভর্তি হয় কিন্তু অনেকেই হাসপাতালে থাকার চেয়ে বাড়িতেই নিরাপদবোধ করে। এজন্য কয়েকজন রোগী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।

হাসপাতালের ভর্তি রোগীর স্বজন গাফফার বলেন, আমাদের রোগী হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু যারা কাছাকাছি থাকে তারা হাসপাতালে থাকে না। বাড়ি থেকে এসে ডাক্তার দেখাইয়া চলে যায়। ওই সময়টাতে কিছুক্ষণ নিজের বেডে থাকে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত সার্জারি চলছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে সার্জারি করলে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে ভয় পায়। এজন্য যে রোগীরা হাসপাতালের কাছাকাছি থাকে তারা বাসায় থাকে। সময়মতো এসে ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি রোগী- থাকেন বাসায়

১০:০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন মনির। ৩-৪ দিন অন্তর অন্তর ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ও ড্রেসিং করতে হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে নিজের নামে একটি বেড নিশ্চিত করলেও তিনি বাসায় থাকেন। কারণ, স্বাস্থ্যবিধি ও করোনাকালীন নিরাপত্তা।

এদিকে বাড়িতে থাকা সম্ভব হলে বাড়িতে থেকেই টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া শ্রেয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন সিনিয়র কনসালটেন্টরা। হাসপাতালে থেকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন অসুস্থ রোগীরা। করোনাকালের এই চিত্র চোখে পড়েছে সরেজমিনে হাসপাতাল পরিদর্শন করে।

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সূত্রে, এখানকার সার্জারি ওয়ার্ডে (পুরুষ ও মহিলা) মোট ২৮ বেড রয়েছে। এর মাঝে কাগজ ও কলমে ২৭ বেডে রোগী ভর্তি। তবে, ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় একেবারেই ভিন্ন চিত্র। সার্জারি ওয়ার্ডের অর্ধেকেরও বেশি রোগী নেই। ফাঁকা বিছানা।

এ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নার্স বলেন, করোনা সংক্রমণের পূর্বে হাসপাতালে এমন পরিস্থিতি ছিল না। লকডাউনের সময় হাসপাতালে সাজারি ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল না বললেই চলে কিন্তু লকডাউনের পরে রোগী ভর্তি শুরু হয়েছে। কিন্তু আগের তুলনায় কম। আর যারা সার্জারি করে তারা ভর্তি হয় কিন্তু অনেকেই হাসপাতালে থাকার চেয়ে বাড়িতেই নিরাপদবোধ করে। এজন্য কয়েকজন রোগী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন।

হাসপাতালের ভর্তি রোগীর স্বজন গাফফার বলেন, আমাদের রোগী হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু যারা কাছাকাছি থাকে তারা হাসপাতালে থাকে না। বাড়ি থেকে এসে ডাক্তার দেখাইয়া চলে যায়। ওই সময়টাতে কিছুক্ষণ নিজের বেডে থাকে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত সার্জারি চলছে। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে সার্জারি করলে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে ভয় পায়। এজন্য যে রোগীরা হাসপাতালের কাছাকাছি থাকে তারা বাসায় থাকে। সময়মতো এসে ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"