নারায়ণগঞ্জ ১২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে প্রতারক মান্নানের প্রতারণা-বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / ৪৮৪

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর এলাকায় মান্নান মিয়া নামে এক প্রতারক জমি বিক্রির নামে পঁচিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ওই প্রতারক মান্নান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু বলেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজুমপুর কাজীপাড়া গ্রামের মৃত ইসমত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছ থেকে ২০১৭ সালে ব্রাক্ষনবাওগা মৌজায় আরএস ২৫ ও ২৭ দাগে এস এ-২০৫দাগের ২০ শতাংশ জমি থেকে ৬ শতাংশ জমি ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তিনি ও তার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম মাকসুদ।

তিনি বলেন, আমার কাছে যে জমি বিক্রি করেছেন মান্নান মিয়া সে জমি ২০০৭ সালে তার ভাতিজা মৃত সামসুল হকের ছেলে চাঁন মিয়া, ইউসুফ ও ইব্রাহীম মিয়ার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, আমি মান্নান মিয়া ও তার ছেলে জায়নাল আবেদীনকে অবগত করি এবং জমির বিষয়টি মীমাংসা করা জন্য তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করি।

মান্নান মিয়া জমির বিষয়টি মীমাংসা না করে তালবাহানা শুরু করেন এবং বলেন, তিনি তার ভাতিজাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে আমাকে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে এ বিষয়ে মান্নান মিয়া মীমাংসা করতে না পেরে পুনরায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিশী বসে। এই শালিশীতে সিদ্ধান্ত হয় মান্নান মিয়া প্রতারনা করে তার মালিকাধীন ৬ শতাংশ জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি তার ভাতিজাদের কাছে বিক্রি করে দেন। মান্নানের মা ও তিন ভাই ও তিন বোনের সম্পত্তির ওয়ারিশ বাদ দিয়ে তিনি ১দশমিক ৩০শতাংশ জমির মালিক হন। এ জমির মূল্য আট লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আমি অর্ধেক জমির মূল্য হিসেবে চার লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। আমার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম মাকসুদের কাছে বাকী চারলাখ টাকা পাওনা রয়েছে মান্নান। তবে চারলাখ টাকার বিনিময়ে জমি ক্রয় করতে অনিচ্ছুক আশরাফুল ইসলাম মাকসুদ।

চেয়ারম্যান শিপলু সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমার মান সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতারন মান্নান মিয়া কতিপয় কুচক্রি মহলের যোগ সাজসে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিনি আরো বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচেছন। এসকল মিথ্যা তথ্য প্রমাণ করতে না পারলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

সোনারগাঁয়ে প্রতারক মান্নানের প্রতারণা-বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

১০:১৩:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর এলাকায় মান্নান মিয়া নামে এক প্রতারক জমি বিক্রির নামে পঁচিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে ওই প্রতারক মান্নান ও তার সহযোগীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলু বলেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজুমপুর কাজীপাড়া গ্রামের মৃত ইসমত আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান মিয়ার কাছ থেকে ২০১৭ সালে ব্রাক্ষনবাওগা মৌজায় আরএস ২৫ ও ২৭ দাগে এস এ-২০৫দাগের ২০ শতাংশ জমি থেকে ৬ শতাংশ জমি ত্রিশ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন তিনি ও তার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম মাকসুদ।

তিনি বলেন, আমার কাছে যে জমি বিক্রি করেছেন মান্নান মিয়া সে জমি ২০০৭ সালে তার ভাতিজা মৃত সামসুল হকের ছেলে চাঁন মিয়া, ইউসুফ ও ইব্রাহীম মিয়ার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে, আমি মান্নান মিয়া ও তার ছেলে জায়নাল আবেদীনকে অবগত করি এবং জমির বিষয়টি মীমাংসা করা জন্য তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করি।

মান্নান মিয়া জমির বিষয়টি মীমাংসা না করে তালবাহানা শুরু করেন এবং বলেন, তিনি তার ভাতিজাদের কাছ থেকে জমি নিয়ে আমাকে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে এ বিষয়ে মান্নান মিয়া মীমাংসা করতে না পেরে পুনরায় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিশী বসে। এই শালিশীতে সিদ্ধান্ত হয় মান্নান মিয়া প্রতারনা করে তার মালিকাধীন ৬ শতাংশ জমি থেকে ৩ শতাংশ জমি তার ভাতিজাদের কাছে বিক্রি করে দেন। মান্নানের মা ও তিন ভাই ও তিন বোনের সম্পত্তির ওয়ারিশ বাদ দিয়ে তিনি ১দশমিক ৩০শতাংশ জমির মালিক হন। এ জমির মূল্য আট লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আমি অর্ধেক জমির মূল্য হিসেবে চার লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। আমার বন্ধু আশরাফুল ইসলাম মাকসুদের কাছে বাকী চারলাখ টাকা পাওনা রয়েছে মান্নান। তবে চারলাখ টাকার বিনিময়ে জমি ক্রয় করতে অনিচ্ছুক আশরাফুল ইসলাম মাকসুদ।

চেয়ারম্যান শিপলু সংবাদ সম্মেলনে আরো উল্লেখ করেন আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমার মান সন্মান ক্ষুন্ন করার জন্য প্রতারন মান্নান মিয়া কতিপয় কুচক্রি মহলের যোগ সাজসে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। তিনি আরো বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচেছন। এসকল মিথ্যা তথ্য প্রমাণ করতে না পারলে আমি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"