নারায়ণগঞ্জ ১১:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে লকডাউন মানছেন না জনসাধারণ- প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / ৫৪২

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি আলোকিত শীতলক্ষ্যা : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না জনসাধারণ। ঐ দিন সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় কেউ কেউ প্রয়োজনে বের হলেও অধিকাংশ মানুষকেই ঘুরে বেড়াতে এবং জড়ো হয়ে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। আবার অনেকেই লকডাউন পরিস্থিতি দেখার জন্যও বের হচ্ছে বলে জিজ্ঞেস করলে জানান। কোথাও চায়ের দোকানে যুবকদের জমজমাট আড্ডাতেও দেখা যাচ্ছে। এদের কারও কারও মুখে মাস্ক থাকে আবার অনেকের মুখে মাস্ক থাকেনা। আবার কেউ কেউ নিরাপত্ত্বা দূরত্বও বজায় রেখেও চলাফেরা করছেন না।

এক কথায় লকডাউন ঘোষণার পরও অনেকেই মানছেন না এই নির্দেশনা। যার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জেও করোনায় আক্রান্ত দশ বছরের এক শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার এক শ্রমিক লীগ নেতাও মৃত্যুবরণ করেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। এতেও কোন টনক নড়ছেনা অসচেতন কিছু মানুষের। তাদের বিষয়টি যেন উপভোগ্য কোন বস্তু!!

প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করতে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন লকডাউন ঘোষণার অনেকদিন আগে থেকেই। এই লক্ষে বিভিন্ন সময় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করে আসছিলেন র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা। এতে কেউ কেউ সচেতন হলেও অনেকেই এ নির্দেশনা না মেনে অযথা বাইরে চলাফেরা করেছে।

সবশেষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়; জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ইত্যাদি এর আওতাবর্হিভূত থাকবে। অসামরিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে।

সিদ্ধিরগঞ্জে হীরাঝিল এলাকার ইমতিয়াজ জানান, সকালে বাজার করতে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ বাজার করতে এসেছে। তবে এর বাইরেও অনেকে অপ্রয়োজনে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা এবং জমায়েতবদ্ধ হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে নূন্যতম সচেতনতা আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার।

এদিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ডস্থ মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লায় অনেককেই রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। মানছেন না কেউ প্রশাসনের দেওয়া লকডাউনের নির্দেশনা। দোয়েল চত্তর এলাকায় নিয়মিত সকাল ও বিকেলে একটি চায়ের দোকানের ভেতরে এবং অনেক ব্যক্তিকে জড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহলে রয়েছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে না, এটা বেশ দুঃখজনক। আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে এদেরকে বোঝানো উচিৎ। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে লকডাউন মানছেন না জনসাধারণ- প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার

১০:৫১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি আলোকিত শীতলক্ষ্যা : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলাকে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হলেও তা মানছেন না জনসাধারণ। ঐ দিন সকাল থেকেই সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় কেউ কেউ প্রয়োজনে বের হলেও অধিকাংশ মানুষকেই ঘুরে বেড়াতে এবং জড়ো হয়ে আড্ডা দিতে দেখা যাচ্ছে। আবার অনেকেই লকডাউন পরিস্থিতি দেখার জন্যও বের হচ্ছে বলে জিজ্ঞেস করলে জানান। কোথাও চায়ের দোকানে যুবকদের জমজমাট আড্ডাতেও দেখা যাচ্ছে। এদের কারও কারও মুখে মাস্ক থাকে আবার অনেকের মুখে মাস্ক থাকেনা। আবার কেউ কেউ নিরাপত্ত্বা দূরত্বও বজায় রেখেও চলাফেরা করছেন না।

এক কথায় লকডাউন ঘোষণার পরও অনেকেই মানছেন না এই নির্দেশনা। যার ফলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জেও করোনায় আক্রান্ত দশ বছরের এক শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার এক শ্রমিক লীগ নেতাও মৃত্যুবরণ করেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। এতেও কোন টনক নড়ছেনা অসচেতন কিছু মানুষের। তাদের বিষয়টি যেন উপভোগ্য কোন বস্তু!!

প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করতে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা জনসাধারণের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা দিয়ে আসছিলেন লকডাউন ঘোষণার অনেকদিন আগে থেকেই। এই লক্ষে বিভিন্ন সময় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করে আসছিলেন র‌্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তারা। এতে কেউ কেউ সচেতন হলেও অনেকেই এ নির্দেশনা না মেনে অযথা বাইরে চলাফেরা করেছে।

সবশেষ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষ্যে ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলাকে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ (লকডাউন) ঘোষণা করা হয়েছে। ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়; জরুরী পরিসেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ইত্যাদি এর আওতাবর্হিভূত থাকবে। অসামরিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে।

সিদ্ধিরগঞ্জে হীরাঝিল এলাকার ইমতিয়াজ জানান, সকালে বাজার করতে গিয়ে দেখি অনেক মানুষ বাজার করতে এসেছে। তবে এর বাইরেও অনেকে অপ্রয়োজনে এদিক সেদিক ঘোরাফেরা এবং জমায়েতবদ্ধ হয়ে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে নূন্যতম সচেতনতা আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার।

এদিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ডস্থ মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লায় অনেককেই রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। মানছেন না কেউ প্রশাসনের দেওয়া লকডাউনের নির্দেশনা। দোয়েল চত্তর এলাকায় নিয়মিত সকাল ও বিকেলে একটি চায়ের দোকানের ভেতরে এবং অনেক ব্যক্তিকে জড়ো হয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ নিয়মিত টহলে রয়েছে। মানুষ সচেতন হচ্ছে না, এটা বেশ দুঃখজনক। আমাদের সবার নিজ নিজ অবস্থান থেকে এদেরকে বোঝানো উচিৎ। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"