নারায়ণগঞ্জ ১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে উদ্বোধন হলো করোনা হাসপাতাল কোভিড-১৯ টেস্ট ল্যাব

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৭:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
  • / ৫৩৭

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা :: নারায়ণগঞ্জে করোনা হাসপাতালে(খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতাল) কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য স্থাপিত ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মে) দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ল্যাবের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। এসময় তিনি ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

একইসঙ্গে তিনি এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ল্যাব স্থাপনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ এবং তার জন্য দোয়া চাই। একইসঙ্গে আমাদের ডাক্তারদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাদের হায়াত দান করেন তারা যেন আমাদের সেবা করতে পারেন।

সেলিম ওসমান বলেন, অনেক প্রচেষ্টার পর জেলার সরকারিভাবে পিসিআর ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন ৯০টা নমুনা টেস্ট করতে পারবো। জনবল বাড়লে আরো টেস্ট করানো হবে। তখন ১৮০ থেকে ২০০ জনও টেস্ট করতে পারবো।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ থাকলেই কেবল করোনা পরীক্ষা করতে আসবেন। সাধারণ সর্দি, কাশি হলেই হাসপাতালে ভিড় করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই করোনা টেস্ট করাতে আসার অনুরোধ করছি।

প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে ভিড় করে রোগীদের ও চিকিৎসকদের অসুবিধার সৃষ্টি করবেন না। এই টেস্ট করতে কিন্তু সাড়ে তিন হাজারের মতো খরচ হয়। যেটা সরকার কর্তৃক ভতুর্কি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের দুরাবস্থা হওয়ার একটি কারণ হলো আমরা সময়মতো পিপিই পাইনি। যার কারণে ডাক্তাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে অসুুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আমাদের ডাক্তারদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাদের হায়াত দান করেন তারা যেন আমাদের সেবা করতে পারেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য বার একাডেমী স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু স্কুল খুলে দিলে তাদের জুডিশিয়াল কোর্ট ভবনে স্থানাস্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ শুধু এ জেলা নয় পুরো বাংলাদেশের রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। নারায়ণগঞ্জের ৮০ ভাগ লোক বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এসে রোজগার করে তাদের পরিবার নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এতদিন মূল্যায়ন না হলেও এখন এটির মূল্যায়ন হচ্ছে।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, এখন রাজনীতির সময় না এখন সবাই মিলে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক চাল চালানো যাবে না। গুঞ্জন ও অপপ্রচার রোধে মিডিয়াকে সক্রিয় থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।

আজ থেকে এখানেই নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ টেস্টগুলো করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়। ইতোমধ্যে ল্যাবের পাশাপাশি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেন্টিলেশনের সব কার্যক্রমও প্রায় শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয়।

ডা. সঞ্চয় জানান, এখানে প্রতিদিন এক সেটআপে ৯০টি করে টেস্ট সম্পন্ন করা যাবে। হয়তো নারায়ণগঞ্জবাসীকে আমরা দ্রুত ফলাফল এখান থেকেই দিতে পারবো। ল্যাবে আমিরুল হুদা নামে একজন ভাইরোলজিস্ট এসেছেন। তার সঙ্গে ২ জন টেকনিশিয়ান যোগ দিয়েছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জে উদ্বোধন হলো করোনা হাসপাতাল কোভিড-১৯ টেস্ট ল্যাব

০৭:৩৩:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা :: নারায়ণগঞ্জে করোনা হাসপাতালে(খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতাল) কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য স্থাপিত ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ মে) দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ ল্যাবের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। এসময় তিনি ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

একইসঙ্গে তিনি এখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, ল্যাব স্থাপনের জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ এবং তার জন্য দোয়া চাই। একইসঙ্গে আমাদের ডাক্তারদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাদের হায়াত দান করেন তারা যেন আমাদের সেবা করতে পারেন।

সেলিম ওসমান বলেন, অনেক প্রচেষ্টার পর জেলার সরকারিভাবে পিসিআর ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। পিসিআর ল্যাবে প্রতিদিন ৯০টা নমুনা টেস্ট করতে পারবো। জনবল বাড়লে আরো টেস্ট করানো হবে। তখন ১৮০ থেকে ২০০ জনও টেস্ট করতে পারবো।

তবে চিকিৎসকের পরামর্শ থাকলেই কেবল করোনা পরীক্ষা করতে আসবেন। সাধারণ সর্দি, কাশি হলেই হাসপাতালে ভিড় করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই করোনা টেস্ট করাতে আসার অনুরোধ করছি।

প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে ভিড় করে রোগীদের ও চিকিৎসকদের অসুবিধার সৃষ্টি করবেন না। এই টেস্ট করতে কিন্তু সাড়ে তিন হাজারের মতো খরচ হয়। যেটা সরকার কর্তৃক ভতুর্কি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের দুরাবস্থা হওয়ার একটি কারণ হলো আমরা সময়মতো পিপিই পাইনি। যার কারণে ডাক্তাররা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে অসুুস্থ হয়ে পড়েছেন।

আমাদের ডাক্তারদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন তাদের হায়াত দান করেন তারা যেন আমাদের সেবা করতে পারেন। তাদের নিরাপত্তার জন্য বার একাডেমী স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু স্কুল খুলে দিলে তাদের জুডিশিয়াল কোর্ট ভবনে স্থানাস্তরের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ শুধু এ জেলা নয় পুরো বাংলাদেশের রোজগারের ব্যবস্থা করেছে। নারায়ণগঞ্জের ৮০ ভাগ লোক বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে এসে রোজগার করে তাদের পরিবার নিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এতদিন মূল্যায়ন না হলেও এখন এটির মূল্যায়ন হচ্ছে।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, এখন রাজনীতির সময় না এখন সবাই মিলে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এর মধ্যে কোনো রাজনৈতিক চাল চালানো যাবে না। গুঞ্জন ও অপপ্রচার রোধে মিডিয়াকে সক্রিয় থাকতে অনুরোধ করেন তিনি।

আজ থেকে এখানেই নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ টেস্টগুলো করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়। ইতোমধ্যে ল্যাবের পাশাপাশি হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (আইসিইউ) ও ভেন্টিলেশনের সব কার্যক্রমও প্রায় শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. শামসুদ্দোহা সরকার সঞ্চয়।

ডা. সঞ্চয় জানান, এখানে প্রতিদিন এক সেটআপে ৯০টি করে টেস্ট সম্পন্ন করা যাবে। হয়তো নারায়ণগঞ্জবাসীকে আমরা দ্রুত ফলাফল এখান থেকেই দিতে পারবো। ল্যাবে আমিরুল হুদা নামে একজন ভাইরোলজিস্ট এসেছেন। তার সঙ্গে ২ জন টেকনিশিয়ান যোগ দিয়েছেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন, জেলা সিভিল সার্জন (সিএস) ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"