নারায়ণগঞ্জ ০৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

এমপি শামীম ওসমানের অনুরোধে রোগীদের নমুনা সংগ্রহে এগিয়ে এসেছে…

 অনলাইন ভার্সন
  • ০২:০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
  • / ৬০৬

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি আলোকিত শীতলক্ষ্যা : নারায়ণগঞ্জকে হটস্পট ও করোনা ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর, করা হয়েছে লকডাউন। স্বাভাবিক মৃত্যুতেও মানুষ শংকিত হয়ে পড়ছে। লাশ দাফনে তৈরী হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা।

এই ভয়াবহতায় জরুরী ভিত্তিতে অসুস্থ্য রোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অনুরোধে এগিয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জের বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি। তারা নিজস্ব লোকবল দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই দুর্যোগময় মুহুর্তে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ যার যার সাধ্যমত সহযোগিতা করা। এবং আমরা স্ব স্ব জায়গা থেকে যতটুকু পারি আমরা সহযোগিতা করবো।

ইতিমধ্যে আমি নারায়ণগঞ্জের পপুলার, মেডিনোভা, ল্যাবএইড ও মর্ডান ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশাকরি এই চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাকী আরোও অনেকেই সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আহবানে এগিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, এমপি শামীম ওমান আমাদের জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য লোকবল কম। তাই তার অনুরোধে আমরা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছি এবং তিনি আমাদের সকল প্রকার সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন।

আমি এবং মেডিস্টারের মালিক মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু এ বিষয়ে কাজ করছি। আমরা সংসদ সদস্যকে টেকনিশিয়ানসহ সব ধরনের লজিস্টক সাপোর্ট দিবো।

এ ব্যাপারে শামীম ওসমান জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে এখন যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে এমন অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে করোনার টেস্ট বা নমুনা স্যাম্পল পাঠিয়ে অপেক্ষা করার সময় না। স্যাম্পল কালেকশন করে রিপোর্ট পেতে পেতে রোগী মারা যাচ্ছে।

তাছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করলেও পরীক্ষার অভাবে তা সনাক্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর পরে পরীক্ষা করে করোনা সনাক্তের কারণে নারায়ণগঞ্জে এর প্রাদুর্ভাব প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।

পাশাপাশি গণমাধ্যমে দেখছি, যাদের এই সময়ে সাধারন মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী দ্বায়িত্ব পালন করার কথা, জনগন যাদের কাছে এই সেবা পাওয়ার শত ভাগ অধিকার রাখে, সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগই এখন রুগ্ন।

প্রতিদিন আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বহু ফোন পাচ্ছি তারা নিজেদের নমুনা সংগ্রহ করাতে ফোন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। অনেকে চিৎকার করে কাঁদছেন, তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। কারণ নমুনা সংগ্রহ করার কাজ আমার জানা নেই।

আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জে অতিসত্বর করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবী জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করবো। কারণ নারায়ণগঞ্জের প্রতি তিনি যথেষ্ট কনসার্ন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ডিজি আমাকে আশ^স্ত করেছেন যে নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি আরো সক্রিয় ভুমিকা নিবেন। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি এটাও বলেছি যে, যদি নমুনা সংগ্রহ করার ব্যাপারে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোন সুফল না পাওয়া যায় তবে গণবিস্ফোরণ ঘটলে এর দ্বায়দ্বায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।

শামীম ওসমান আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আমি নারায়ণগঞ্জের সেরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমি এ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েটি টিম করার অনুরোধ করেছি, যেন নারায়ণগঞ্জে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স সহ সকল আনুষাঙ্গিক খরচ আমি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবো। কিন্তু এই ক্রান্তি লগ্নে আপনারা নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকুন।

তিনি আরোও বলেন, ঘনবসতী ও শিল্পাঞ্চল হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ক্রমেই এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যা সমগ্র দেশের জন্যও আতঙ্ক ও হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জরুরী ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমি আবারো জোর দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে করোনার সংক্রামণ প্রতিরোধে গত বুধবার থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেছে আইএসপিআর।

উল্লেখ্য, আদমজী ইপিজেড, তৈরি পোশাক কারখানা, হোসিয়ারিসহ ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণসহ নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজার রয়েছে এ নগরীতে। এসব কারণে নারায়ণগঞ্জ একটি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। তাই ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেশি।

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

এমপি শামীম ওসমানের অনুরোধে রোগীদের নমুনা সংগ্রহে এগিয়ে এসেছে…

০২:০৫:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ এপ্রিল ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি আলোকিত শীতলক্ষ্যা : নারায়ণগঞ্জকে হটস্পট ও করোনা ক্লাস্টার হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর, করা হয়েছে লকডাউন। স্বাভাবিক মৃত্যুতেও মানুষ শংকিত হয়ে পড়ছে। লাশ দাফনে তৈরী হচ্ছে নানা প্রতিবন্ধকতা।

এই ভয়াবহতায় জরুরী ভিত্তিতে অসুস্থ্য রোগীদের নমুনা সংগ্রহের জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমানের অনুরোধে এগিয়ে এসেছে নারায়ণগঞ্জের বেসরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি। তারা নিজস্ব লোকবল দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. শাহনেওয়াজ চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের এই দুর্যোগময় মুহুর্তে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ যার যার সাধ্যমত সহযোগিতা করা। এবং আমরা স্ব স্ব জায়গা থেকে যতটুকু পারি আমরা সহযোগিতা করবো।

ইতিমধ্যে আমি নারায়ণগঞ্জের পপুলার, মেডিনোভা, ল্যাবএইড ও মর্ডান ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশাকরি এই চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বাকী আরোও অনেকেই সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আহবানে এগিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, এমপি শামীম ওমান আমাদের জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ও সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য লোকবল কম। তাই তার অনুরোধে আমরা বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছি এবং তিনি আমাদের সকল প্রকার সহযোগীতারও আশ্বাস দিয়েছেন।

আমি এবং মেডিস্টারের মালিক মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু এ বিষয়ে কাজ করছি। আমরা সংসদ সদস্যকে টেকনিশিয়ানসহ সব ধরনের লজিস্টক সাপোর্ট দিবো।

এ ব্যাপারে শামীম ওসমান জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জে এখন যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে এমন অবস্থায় ঢাকায় গিয়ে করোনার টেস্ট বা নমুনা স্যাম্পল পাঠিয়ে অপেক্ষা করার সময় না। স্যাম্পল কালেকশন করে রিপোর্ট পেতে পেতে রোগী মারা যাচ্ছে।

তাছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করলেও পরীক্ষার অভাবে তা সনাক্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। মৃত্যুর পরে পরীক্ষা করে করোনা সনাক্তের কারণে নারায়ণগঞ্জে এর প্রাদুর্ভাব প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।

পাশাপাশি গণমাধ্যমে দেখছি, যাদের এই সময়ে সাধারন মানুষের জন্য সবচেয়ে বেশী দ্বায়িত্ব পালন করার কথা, জনগন যাদের কাছে এই সেবা পাওয়ার শত ভাগ অধিকার রাখে, সেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগই এখন রুগ্ন।

প্রতিদিন আমার নির্বাচনী এলাকাসহ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বহু ফোন পাচ্ছি তারা নিজেদের নমুনা সংগ্রহ করাতে ফোন করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। অনেকে চিৎকার করে কাঁদছেন, তাদের জন্য কিছুই করতে পারছি না। কারণ নমুনা সংগ্রহ করার কাজ আমার জানা নেই।

আমি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহা পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। নারায়ণগঞ্জে অতিসত্বর করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবী জানিয়েছি। প্রয়োজনে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করবো। কারণ নারায়ণগঞ্জের প্রতি তিনি যথেষ্ট কনসার্ন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ডিজি আমাকে আশ^স্ত করেছেন যে নমুনা সংগ্রহের ব্যাপারে তিনি আরো সক্রিয় ভুমিকা নিবেন। তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমি এটাও বলেছি যে, যদি নমুনা সংগ্রহ করার ব্যাপারে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কোন সুফল না পাওয়া যায় তবে গণবিস্ফোরণ ঘটলে এর দ্বায়দ্বায়িত্ব আপনাদেরই নিতে হবে।

শামীম ওসমান আরো বলেন, ইতিমধ্যেই আমি নারায়ণগঞ্জের সেরকারী ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক মালিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের আমি এ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েটি টিম করার অনুরোধ করেছি, যেন নারায়ণগঞ্জে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছেন। আমি তাদের বলেছি প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স সহ সকল আনুষাঙ্গিক খরচ আমি ব্যক্তিগতভাবে বহন করবো। কিন্তু এই ক্রান্তি লগ্নে আপনারা নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে থাকুন।

তিনি আরোও বলেন, ঘনবসতী ও শিল্পাঞ্চল হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ ক্রমেই এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যা সমগ্র দেশের জন্যও আতঙ্ক ও হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই জরুরী ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমি আবারো জোর দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে করোনার সংক্রামণ প্রতিরোধে গত বুধবার থেকে পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করেছে আইএসপিআর।

উল্লেখ্য, আদমজী ইপিজেড, তৈরি পোশাক কারখানা, হোসিয়ারিসহ ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণসহ নিত্যপণ্যের পাইকারি বাজার রয়েছে এ নগরীতে। এসব কারণে নারায়ণগঞ্জ একটি শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা। তাই ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেশি।