নারায়ণগঞ্জ ০২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ টি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ ঘোষণা

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
  • / ৪৫৫

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : কাজে যোগদানকে কেন্দ্র করে কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিকরা সিদ্ধিরগঞ্জে আহসান গ্র“পের আহসান এ্যাপারেলস এর আব্দুর রাজ্জাক নামে এক গার্মেন্টের পরিচালক ও ৩ নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধন ও গার্মেন্টর জানালার গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় এমএস টাওয়ারের পিছনে আহসান এ্যাপারেলস নামে ওই গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গামেন্ট মালিক ৩ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কারখানা ৩ টি হচ্ছে আহসান এ্যাপারেলস, আহসান নিটিং ও একেফ্যাশন।

ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, লকডাউনের সময় গার্মেন্ট লেঅফ ছিল। পরবর্তীতে সীমিত আকারে গার্মেন্ট চালু করা হয়। লকডাউনের সময় এবং কারখানা চালু করার পরও যে সকল শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করেনি তাদের বেসিক ৬০% হারে মালিক পক্ষ দিয়ে আসছে।

গার্মেন্ট পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ৩০০ শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করতে পারেনি। তবে গার্মেন্টের ইউনিট পুরো পুরি চালু হলে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিক কর্মচারীকে কাজে পূর্নবহালের ঘোষণঅ দিয়েছে মালিক পক্ষ। কিন্তু কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিকের ইন্ধন যারা কাজে যোগদান করেনি তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে এ খবর ছড়িয়ে দেয় সাধারন শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার সকালে ৩ টি গার্মেন্টর ২২‘শ শ্রমিকদের মধ্যে ১৯‘শ শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করে। কিন্তু উছৃঙ্খল শ্রমিকরা আহসান এ্যাপালেস এর সামনে জড়ো হয়ে গার্মেন্টের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে গামেন্টের সামনে পেয়ে সকাল ১০ টার দিকে বেধড়ক মারধর করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত শিল্প পুলিশের কয়েক সদস্য দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলেও তারা তাকে শ্রমিকদের রোষানলথেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ কয়েছে।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা একই মালিকের অপর গার্মেন্ট একেফ্যাশন এর সামনে গিয়ে ৩ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করে। পরে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আইনুল হক এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

গার্মেন্ট পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন শ্রমিকদের কোন বেতন ভাতা ও বোনাস বকেয়া নেই, যে সকল শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগ দেয়নি তাদেরকে আমরা ৬০% হারে বেতন দিয়েছি বোনাসও দিয়েছি এবং যারা কাজ করছেনা তাদের ৬০% হারে বেতন প্রদান অব্যাহত রেখেছি বলে আব্দুর রজ্জাক জানান।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু গার্মেন্ট পুরোপুরি চালু হয়নি তাই ৩০০ শ্রমিক কর্মচারীকে আমরা পর্যায়ক্রমে ইউনিট চালু করবো এবং কাজে যোগদান করাবো বলে একধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিক আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে আমার মোবাইল, ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অন্যান্য পরিচালকদের সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান। দুপুর ১২ টার দিকে গার্মেন্ট পরিচালক রুবাইয়াত শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আইনুল হকের সামনে শ্রমিকদের জানিয়ে দেন গার্মেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গার্মেন্ট এলাকায় নাশকতা এড়াতে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে অনির্দিষ্টকালের জন্য ৩ টি গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ ঘোষণা

১০:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুন ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : কাজে যোগদানকে কেন্দ্র করে কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিকরা সিদ্ধিরগঞ্জে আহসান গ্র“পের আহসান এ্যাপারেলস এর আব্দুর রাজ্জাক নামে এক গার্মেন্টের পরিচালক ও ৩ নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধন ও গার্মেন্টর জানালার গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় এমএস টাওয়ারের পিছনে আহসান এ্যাপারেলস নামে ওই গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর গামেন্ট মালিক ৩ টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কারখানা ৩ টি হচ্ছে আহসান এ্যাপারেলস, আহসান নিটিং ও একেফ্যাশন।

ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, লকডাউনের সময় গার্মেন্ট লেঅফ ছিল। পরবর্তীতে সীমিত আকারে গার্মেন্ট চালু করা হয়। লকডাউনের সময় এবং কারখানা চালু করার পরও যে সকল শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করেনি তাদের বেসিক ৬০% হারে মালিক পক্ষ দিয়ে আসছে।

গার্মেন্ট পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ৩০০ শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করতে পারেনি। তবে গার্মেন্টের ইউনিট পুরো পুরি চালু হলে পর্যায়ক্রমে সকল শ্রমিক কর্মচারীকে কাজে পূর্নবহালের ঘোষণঅ দিয়েছে মালিক পক্ষ। কিন্তু কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিকের ইন্ধন যারা কাজে যোগদান করেনি তাদেরকে ছাঁটাই করা হবে এ খবর ছড়িয়ে দেয় সাধারন শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার সকালে ৩ টি গার্মেন্টর ২২‘শ শ্রমিকদের মধ্যে ১৯‘শ শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করে। কিন্তু উছৃঙ্খল শ্রমিকরা আহসান এ্যাপালেস এর সামনে জড়ো হয়ে গার্মেন্টের পরিচালক আব্দুর রাজ্জাককে গামেন্টের সামনে পেয়ে সকাল ১০ টার দিকে বেধড়ক মারধর করে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত শিল্প পুলিশের কয়েক সদস্য দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখলেও তারা তাকে শ্রমিকদের রোষানলথেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ কয়েছে।

বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা একই মালিকের অপর গার্মেন্ট একেফ্যাশন এর সামনে গিয়ে ৩ জন নিরাপত্তা প্রহরীকে মারধর করে। পরে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আইনুল হক এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

গার্মেন্ট পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন শ্রমিকদের কোন বেতন ভাতা ও বোনাস বকেয়া নেই, যে সকল শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগ দেয়নি তাদেরকে আমরা ৬০% হারে বেতন দিয়েছি বোনাসও দিয়েছি এবং যারা কাজ করছেনা তাদের ৬০% হারে বেতন প্রদান অব্যাহত রেখেছি বলে আব্দুর রজ্জাক জানান।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু গার্মেন্ট পুরোপুরি চালু হয়নি তাই ৩০০ শ্রমিক কর্মচারীকে আমরা পর্যায়ক্রমে ইউনিট চালু করবো এবং কাজে যোগদান করাবো বলে একধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও কতিপয় উছৃঙ্খল শ্রমিক আমার উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে আমার মোবাইল, ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়েছে।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অন্যান্য পরিচালকদের সাথে আলাপ আলোচনা সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান। দুপুর ১২ টার দিকে গার্মেন্ট পরিচালক রুবাইয়াত শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আইনুল হকের সামনে শ্রমিকদের জানিয়ে দেন গার্মেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। গার্মেন্ট এলাকায় নাশকতা এড়াতে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"