নারায়ণগঞ্জ ০৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে পর মায়ের মৃত্যু

 অনলাইন ভার্সন
  • ১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
  • / ৪৮০

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু হয়, কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মারা গেলেন মা‘ মনোয়রা বেগম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থা মনোয়রা বেগম মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন।

বুধবার (৮ জুলাই) ভোর রাতে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়া ভাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও ওসি আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়াভাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গার্মেন্টে চাকরি করেন।

এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন।

এ সময় মেয়ে বিথীর চিৎকারে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়।

হারেজ মিয়া বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে পর মায়ের মৃত্যু

১১:২২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুলাই ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : মাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু হয়, কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মারা গেলেন মা‘ মনোয়রা বেগম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিসকৎসাধীন অবস্থা মনোয়রা বেগম মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন।

বুধবার (৮ জুলাই) ভোর রাতে ফতুল্লার পশ্চিম ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়া ভাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান ও ওসি আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের রিকশাচালক হারেস মিয়া পরিবার নিয়ে ভোলাইল শাহ আলমের ভাড়াভাড়িতে থাকেন। তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম গার্মেন্টে চাকরি করেন।

এছাড়া ছেলে সোহাগ স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন আর মেয়ে বিথী আক্তার (১২) ভোলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। হারেস তার স্ত্রীকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে প্রায় সময় তাদের সংসারে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে হারেস মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে তার স্ত্রীকে আঘাত করেন। পরে মাকে বাঁচাতে যায় ছেলে সোহাগ। তখন হারেস তার ছেলে সোহাগকেও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে হারেস নিজের পেটে নিজেই ছুরিকাঘাত করেন।

এ সময় মেয়ে বিথীর চিৎকারে লোকজন এসে সোহাগসহ হারেস ও মনোয়ারা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্বামী-স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হারেজের উপুর্যপরী ছুরিকাঘাতে মা ও ছেলে মারা যায়।

হারেজ মিয়া বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। সেখানে তাকে রাখা হয়েছে পুলিশ প্রহরায়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"