নারায়ণগঞ্জ ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সরকার সেই চেষ্টা করছে : প্রধানমন্ত্রী

 অনলাইন ভার্সন
  • ০১:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
  • / ৫০৫

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণ উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই সহায়তাপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

দেশে বিত্তশালী ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায়দের সহযোগিতায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন। নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এবং ধান কাটায় অংশ নিয়ে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে। সব ধরনের পতিত জমিতে যে কোনও ধরনের ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। সরকার সেই চেষ্টা করছে। আপনারা মনোবল শক্ত করে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মুজিববর্ষের পরিকল্পনা সীমিত করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার যেসব খাতে অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব তা করে সেই অর্থ অসহায়দের সহায্যে কাজে লাগানো হবে।

ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ।

তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা, ফলে বাড়তি কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ সরকার বহন করবে। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনও খরচ দিতে হবে না।

উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। বিকাশ, রকেট, নগদ ও সিওর ক্যাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে সাড়ে ১২শ’ কোটি টাকার তহবিল বিতরণ করা হবে। প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে চার জন সদস্য, সেই হিসাবে এই নগদ সহায়তায় উপকার ভোগী হবে দুই কোটি মানুষ। প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ নগদ সহায়তা পাবেন এবং পুরো তহবিল ১৪ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বিতরণ করা হবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়, সরকার সেই চেষ্টা করছে : প্রধানমন্ত্রী

০১:৫১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মে ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হত দরিদ্র পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণ উদ্বোধন করেন। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই সহায়তাপ্রাপ্তদের তালিকা তৈরি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।

দেশে বিত্তশালী ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়ে বলেন, অসহায়দের সহযোগিতায় আরও বেশি করে এগিয়ে আসুন। নিজ নিজ এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য করতে এবং ধান কাটায় অংশ নিয়ে কৃষকদের কষ্ট লাঘব করতে। সব ধরনের পতিত জমিতে যে কোনও ধরনের ফসল ফলানোর উদ্যোগ নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কোনও মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। সরকার সেই চেষ্টা করছে। আপনারা মনোবল শক্ত করে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মুজিববর্ষের পরিকল্পনা সীমিত করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার যেসব খাতে অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব তা করে সেই অর্থ অসহায়দের সহায্যে কাজে লাগানো হবে।

ভাতা পাওয়ার তালিকায় আছেন রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, দোকানের কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোলট্রি খামারের শ্রমিক, বাস-ট্রাকের পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষ।

তালিকাভুক্তদের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট, এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা, ফলে বাড়তি কোনও ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচ সরকার বহন করবে। এই টাকা উত্তোলন করতে ভাতাভোগীদের কোনও খরচ দিতে হবে না।

উল্লেখ্য, সারাদেশে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা নগদ সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। বিকাশ, রকেট, নগদ ও সিওর ক্যাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে সাড়ে ১২শ’ কোটি টাকার তহবিল বিতরণ করা হবে। প্রতি পরিবারে ধরা হয়েছে চার জন সদস্য, সেই হিসাবে এই নগদ সহায়তায় উপকার ভোগী হবে দুই কোটি মানুষ। প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ নগদ সহায়তা পাবেন এবং পুরো তহবিল ১৪ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বিতরণ করা হবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"